চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেছেন, জুলাই-আগস্টে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধ বিচারের জন্য সরকার আরেকটি (দ্বিতীয়) ট্রাইব্যুনাল প্রতিষ্ঠার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বর্তমানে একটি ট্রাইব্যুনালে বিচারিক কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। নতুন আরেকটি ট্রাইব্যুনাল গঠিত হলে বিচার কার্যক্রম আরও ত্বরান্বিত হবে। গতকাল আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান তিনি। এ সময় চিফ প্রসিকিউটর জানান, বর্তমানে চারটি মামলার তদন্ত চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। মামলাগুলো হলো- আশুলিয়া লাশ পোড়ানোর ঘটনা, চানখাঁরপুল হত্যাকাণ্ডের ঘটনা, রামপুরা কার্নিশে ঝুলে থাকা কিশোরকে গুলির ঘটনা ও শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মামলা। তিনি বলেন, এ সব মামলায় স্বল্পতম সময়ের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করা হতে পারে। তদন্ত প্রতিবেদন ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক গৃহীত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই আনুষ্ঠানিক বিচার প্রক্রিয়া শুরু হবে। এক সময়ের ১৯৭১ সালের মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার হওয়া আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বর্তমানে জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলন নির্মূলে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারিক কার্যক্রম চলছে। গত ১০ এপ্রিলের প্রসিকিউশন টিমের পক্ষ থেকে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, জুলাই-আগস্টে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধসহ মোট ৩ শতাধিক অভিযোগ জমা পড়েছে। যেখানে ৩৯টির তদন্ত কার্যক্রম (কমপ্লেইন্ট রেজিস্টার অনুসারে) চলমান। তদন্তের প্রাথমিক সত্যতার আলোকে মিস কেস হয়েছে ২২টি। এসব মিস কেসে সর্বমোট অভিযুক্ত ব্যক্তি ১৪১ জন।
যাদের মধ্যে গ্রেপ্তার রয়েছেন ৫৪ জন আর ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামি ৮৭ জন। বর্তমানে এ ট্রাইব্যুনালে চিফ প্রসিকিউটরসহ মোট ১৭ জন প্রসিকিউটর রয়েছেন। ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থায় কর্মকর্তা রয়েছেন ২৪ জন।