পাহেলগাঁওয়ে হামলার পরেই কাশ্মীর জুড়ে ধরপাকড় শুরু হয়েছে। উপত্যকার দেড় হাজারেরও বেশি মানুষকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। এমন খবরই দিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো।
মঙ্গলবার পাহেলগাঁওয়ের বৈসরনি উপত্যকায় ২৬ জন পর্যটককে নির্বিচারে গুলি করে হত্যা করেছে হামলাকারীরা। হামলার দায় নিয়েছে ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফোর্স’ (টিআরএফ)।
বিভিন্ন রিপোর্টে দাবি, গোয়েন্দাদের সূত্রে খবর ছয়-সাত জন হামলাকারী মিলে ওই হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে। তাদের মধ্যে চার-পাঁচ জন পাকিস্তান থেকে এসেছিলেন। আর দু-জন উপত্যকা বলে অনুমান গোয়েন্দাদের। এই পরিস্থিতিতে উপত্যকা জুড়ে ধরপাকড় শুরু করেছে নিরাপত্তাবাহিনী।
জম্মু এবং কাশ্মীরের পাহেলগাঁওয়ে হত্যাকাণ্ডের দ্রুত জবাব দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে দিল্লি। এরই মধ্যে বুধবার সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বাসভবনে জরুরি বৈঠক করেছে ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার নিরাপত্তা সংক্রান্ত কমিটি (সিসিএস)। বৈঠকে উপস্থিত রয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করও।
প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ অপরাধীদের দ্রুত জবাব দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। বুধবার দুপুরের বৈঠকের পর এক বিবৃতিতে তিনি দেশবাসীকে আশ্বস্ত করে বলেছেন, শীঘ্রই জোরালো এবং স্পষ্ট জবাব পাবে অপরাধীরা। শুধু হত্যাকারীরাই নয়, যারা পিছন থেকে কলকাঠি নেড়েছে, তাদেরও জবাব দেওয়া হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন রাজনাথ।
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল