যুক্তরাজ্যের ম্যানচেস্টারের একটি ইহুদি উপসনালয়ে প্রাণঘাতী হামলার কয়েক দিন পর শনিবার রাতে দক্ষিণাঞ্চলের সাসেক্সের পিসহেভেনে একটি মসজিদে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এ সময় ভিতরে দুজন অবস্থান করছিলেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মসজিদটির একজন স্বেচ্ছাসেবক জানিয়েছেন, দুজন মুখোশধারী শনিবার রাতে মসজিদের দরজা ভাঙার চেষ্টা করে, এরপর সিঁড়িতে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। মসজিদটির সভাপতি ও অন্য একজন ভিতরে বসে চা খাচ্ছিলেন।
হঠাৎ বাইরে বিস্ফোরণের মতো শব্দ শুনে তারা বেরিয়ে আসেন। এ সময় প্রবেশপথজুড়ে আগুনের লেলিহান শিখা ছড়িয়ে পড়ে। সন্দেহভাজনরা ভিতরে মানুষ আছে তা জানত কি না, এখনো পরিষ্কার নয়।
পুলিশ গতকাল জানায়, যুক্তরাজ্যের দক্ষিণাঞ্চলে একটি মসজিদে অগ্নিকাণ্ডকে তারা ‘বিদ্বেষমূলক অপরাধ’ হিসেবে তদন্ত করছে। ওই স্বেচ্ছাসেবক আরও বলেন, ‘তারা সহজেই মারা যেতে পারতেন। হামলাকারীরা সর্বোচ্চ ক্ষতি করার অভিপ্রায় নিয়েই এসেছিল। সভাপতি পুরো সময় কাঁপছিলেন, এক প্রতিবেশী রাস্তায় বেরিয়ে এসে কান্না করছিলেন। সবাই আতঙ্কিত। কেউ এমন কিছু করতে পারে, এর মানে সামনে কী হতে যাচ্ছে আমরা জানি না।’ চার বছর আগে খোলা এই ছোট্ট মসজিদটিতে সাধারণত ১০-১৫ জন নামাজ পড়েন। সেদিন রাতেও ৮টা ১৫ মিনিটে মাগরিবের নামাজে জামাত হয়েছিল।
তিনি আরও জানান, দরজার ক্যামেরার ফুটেজে দেখা গেছে, দুজন মুখোশধারী দরজার হ্যান্ডেল টেনে ও ধাক্কা দিয়ে প্রবেশের চেষ্টা করে। কিছুক্ষণ পর তারা মসজিদ ও সভাপতির গাড়িতে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়।
আগুনে মসজিদের প্রধান প্রবেশপথ ও বাইরে দাঁড়ানো একটি গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। গাড়িটি সভাপতির জীবিকার একমাত্র মাধ্যম ছিল। কারণ, তিনি ট্যাক্সিচালক হিসেবে কাজ করেন। শারীরিকভাবে কেউ ক্ষতিগ্রস্ত না হলেও পুলিশ বলেছে, এ ঘটনার প্রভাব পিসহেভেনের মুসলিম সম্প্রদায় গভীরভাবে অনুভব করবে।
লিবারেল ডেমোক্র্যাট এমপি জেমস ম্যাকক্লিয়ারি ঘটনাটি নিন্দা জানিয়ে এক্সে লিখেছেন, ‘পিসহেভেনের মসজিদে আগুনের খবর ভয়াবহ। এটি আমার নির্বাচনি এলাকার মানুষ ব্যবহার করেন এবং এটি স্থানীয় সম্প্রদায়ের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। পুলিশ এটিকে বিদ্বেষমূলক অপরাধ হিসেবে দেখছে।’ সূত্র : সিএনএন