কক্সবাজার সদরে যুবককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এক সমন্বয়কসহ আটক তিনজনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। তবে, ঘটনায় ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় এখনো মামলা দায়ের করা হয়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ।
মঙ্গলবার দুপুরে জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আখতার জাবেদের আদালত এ আদেশ দেন। কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
কারাগারে পাঠানো আসামিরা হলেন, কক্সবাজার শহরের বাহারছড়া এলাকায় বসবাসকারী জাহাঙ্গীর কাশেমের ছেলে রাইয়ান কাশেম, তার বাবার মালিকানাধীন হ্যাচারির নৈশপ্রহরী মোহাম্মদ হোসাইন ও মোহাম্মদ মিজান।
রাইয়ান কাশেম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কক্সবাজারের সমন্বয়ক। তার বাবা জাহাঙ্গীর কাশেম আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জসিম উদ্দিন বলেন, রবিবার মধ্যরাতে কক্সবাজার সদরের খুরুশকুল পুরাতন ব্রিজ সংলগ্ন আল্লাওয়ালা হ্যাচারিতে যুবককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে রাতেই ঘটনার পরপরই জড়িত সন্দেহে চারজনকে আটক করা হয়েছিল। এদের মধ্যে রাইয়ান কাশেম নামের একজন জনতার মারধরে আহত হলে পুলিশ হেফাজতে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
তিনি বলেন, মঙ্গলবার সকালে ঘটনায় জড়িত সন্দেহে আটক তিনজনকে কক্সবাজারের আদালতে প্রেরণ করা হয়। পরে আদালত শুনানি শেষে তিনজনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন। ঘটনায় আটক একজনকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
এদিকে, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাইয়ান কাশেমের মুক্তির দাবিতে মশাল মিছিল বের করার কর্মসূচি ঘোষণা করেছে জুলাই আন্দোলনের ছাত্ররা।
উল্লেখ্য, রবিবার মধ্যরাতে কক্সবাজার সদর উপজেলার খুরুশকুল ইউনিয়নের আল্লাওয়ালা নামে একটি হ্যাচারিতে আলী আকবর নামের এক যুবককে হত্যার ঘটনা ঘটে। আকবর কক্সবাজার সদরের খুরুশকুল ইউনিয়নের কুলিয়াপাড়ার বাসিন্দা আলী আহমদের ছেলে।
নিহতের পরিবারের দাবি, মাছ চুরির অপবাদে আকবরকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। মূলত জমি নিয়ে বিরোধের জেরে পরিকল্পিতভাবে এ খুনের ঘটনা ঘটানো হয়েছে।
তবে ঘটনায় উত্তেজিত জনতার হামলা শিকারের আগে গণমাধ্যমের কাছে রাইয়ান কাশেম দাবি করেন, তাদের হ্যাচারিতে চুরির করার সময় আকবরকে হাতেনাতে ধরেন নিরাপত্তা প্রহরীরা। পরে আকবর আঘাত করলে আত্মরক্ষার্থে নিরাপত্তা প্রহরীরা পাল্টা আঘাত করেন। এতে মারা যান আকবর।
বিডি প্রতিদিন/কেএ