মাত্র ছয় বছর বয়সে ‘বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দর মেয়ে’ হিসেবে পরিচিতি পেয়েছিলেন ফরাসি মডেল থিলান ব্লন্ডো। এখন তিনি ২৪ বছর বয়সী পূর্ণবয়স্ক তরুণী। শৈশবের সেই মোহনীয় চেহারার সঙ্গে তাঁর বর্তমান চেহারার অনেক পার্থক্য থাকলেও, সৌন্দর্যের বিচারে তিনি এখনো অনন্য।
বর্তমানে থিলানের লম্বা গাঢ় চুল এবং মেকআপে ঘষামাজা সৌন্দর্য তাঁকে করে তুলেছে আরও আকর্ষণীয়। ছোটবেলায় তাঁর নীল চোখ, স্বর্ণালি চুল ও মোহময় ঠোঁটে মুগ্ধ হয়েছিলেন বিখ্যাত ফ্যাশন ডিজাইনার জ্যঁ পল গলতিয়ে। মাত্র তিন বছর বয়সে তিনি গলতিয়েরের নজরে পড়েন, আর চার বছর বয়সেই হাঁটেন প্রথম র্যাম্পে।
এরপর ছয় বছর বয়সে ‘বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দর মেয়ে’ হিসেবে খ্যাতি পান। দশ বছর বয়সে কাজ করেন ‘ভোগ প্যারিস’-এর জন্য, যা তাঁকে বিশ্বের সবচেয়ে কম বয়সী মডেলদের একজন হিসেবে প্রতিষ্ঠা দেয়।
বর্তমানে থিলান মিউ মিউ, ডোলচে অ্যান্ড গাব্বানা, ল’রিয়েল প্যারিস, ভার্সেস, রালফ লরেন এবং হুগো বসের মতো বিশ্বখ্যাত ফ্যাশন ব্র্যান্ডের সঙ্গে কাজ করছেন। পাশাপাশি তিনি সামাজিক মাধ্যমেও দারুণ জনপ্রিয়, যেখানে তাঁর লক্ষাধিক অনুসারী রয়েছে।
থিলানের নিজস্ব ফ্যাশন ব্র্যান্ড ‘হ্যাভেন মে ক্লথিং’ এবং বিউটি ও হেয়ার কেয়ার লাইন ‘এনালাইট’-এর কথাও শোনা যায়।
চিরকাল সৌন্দর্যের প্রশংসা পেলেও থিলান সবসময় নিজেকে বিনয়ী রাখার চেষ্টা করেছেন। ২০১৮ সালে দ্য টেলিগ্রাফকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, ‘লোকজন যখন বলে, তুমি তো বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দর মেয়ে, আমি বলি, আমি না, আমি তো শুধু আইপ্যাড নিয়ে খেলছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘এখনো যখন কেউ বলে আমি সবচেয়ে সুন্দর, আমি বলি—না, আমি এখনো নই, আমি শুধু একজন মানুষ, একজন তরুণী।’
তবে তাঁর জীবন সবসময় রঙিন ছিল না। ২০২১ সালে থিলান জানান, তিনি ওভারিয়ান সিস্ট সংক্রান্ত জটিলতায় একাধিক অস্ত্রোপচার করিয়েছেন। একটি সিস্ট ফেটে গিয়ে তীব্র ব্যথা তৈরি করেছিল, যা তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে বাধ্য করে।
পরে তিনি ইনস্টাগ্রামে নিজের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন এবং সবাইকে শরীরের যেকোনো ব্যথা অবহেলা না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়ার আহ্বান জানান।
থিলান বলেন, ‘এই অভিজ্ঞতা আমাকে শিখিয়েছে, শরীর যখন ব্যথা দেয়, তখন তা অবহেলা করা উচিত নয়। যতক্ষণ না সমস্যার মূল কারণ জানা যাচ্ছে, ততক্ষণ চিকিৎসা চালিয়ে যেতে হবে।’
তিনি মনে করিয়ে দেন, ‘সামান্য ব্যথাও হতে পারে বড় কোনো সমস্যার পূর্বাভাস।’
সূত্র: দ্য টেলিগ্রাফ
বিডি প্রতিদিন/আশিক