শহরে এখন শোভা পাচ্ছে কৃষ্ণচূড়ার সৌন্দর্য। রাজধানীর বড় বড় সড়কের পাশে, পথে-প্রান্তরে, বিভিন্ন দপ্তরের আঙিনায় দৃষ্টি কেড়েছে রঙিন কৃষ্ণচূড়া ফুল। গ্রীষ্মের ছোঁয়া লাগার পর থেকেই প্রকৃতিকে অপরূপ সাজে সাজিয়েছে এ ফুল। শুধু লাল নয়, দেখা মিলছে কমলা ও হলুদ রঙের কৃষ্ণচূড়া ফুলেরও। গতকাল ঘুরে দেখা যায়, জাতীয় সংসদ ভবনের দুই পাশের মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ লাল কৃষ্ণচূড়া ফুলে সেজেছে। একইভাবে সেজেছে মিরপুর ও বিমানবন্দর সড়কের বেশ কয়েকটি স্থান। এ ছাড়া রমনা পার্ক, বলধা গার্ডেন ও বোটানিক্যাল গার্ডেনের অসংখ্য গাছে শোভা পাচ্ছে এ ফুল।
ন্যাশনাল ব্যাংক পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের ইংরেজির প্রভাষক স্নেহা রোজারিও বলেন, ঢাকায় একসময় অনেক কৃষ্ণচূড়া গাছ দেখা যেত। বর্তমানে অনেক কমে গেছে। তবে শহরের বিভিন্ন মোড়, পার্ক, বিনোদন কেন্দ্রসহ বেশ কিছু এলাকায় কৃষ্ণচূড়া শোভা পাচ্ছে। রোদ আর গরমে কৃষ্ণচূড়া গাছ ও ফুল স্বস্তিদায়ক। সংসদ ভবনের সামনে রূপা শিকদার নামে একজন বলেন, আমি এখানে প্রায়ই হাঁটতে আসি। এলেই চোখে পড়ে কৃষ্ণচূড়া গাছ। গাছে ফুল ফুটেছে। তীব্র দাবদাহে গাছগুলো ছায়া দেওয়ার পাশাপাশি সৌন্দর্য ছড়াচ্ছে। পরিবেশ ও প্রকৃতিবিষয়ক গবেষক কবি সংগঠক মঈন মুরসালিন বলেন, বাংলা সাহিত্য, সংস্কৃতি ও বহু আন্দোলনের পটভূমির সঙ্গে কৃষ্ণচূড়া গাছের নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে। শোভাবর্ধনকারী এ গাছ দেশের গ্রামীণ জনপদের পাশাপাশি শহরের মানুষের কাছেও সমান গুরুত্ব বহন করে। শখের বশে এ গাছের কদর রয়েছে অনেকের কাছে।
বাংলাদেশে কৃষ্ণচূড়া ফুল ফোটে এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত। তবে অন্যান্য দেশে কৃষ্ণচূড়া ফুল ফোটার সময় ভিন্ন। যেমন, আমেরিকার দক্ষিণ ফ্লোরিডায় জুনে, আরব আমিরাতে সেপ্টেম্বরে, ক্যারিবীয় অঞ্চলে মে থেকে সেপ্টেম্বর, ভারতে এপ্রিল থেকে জুন ও অস্ট্রেলিয়ায় ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারিতে এ ফুল ফোটে।