বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেশে ফিরেছেন তাঁর পুত্রবধূ ডা. জুবাইদা রহমান। প্রায় ১৭ বছর পর দেশে ফিরলেন তিনি। গতকাল সকাল ১০টা ৪২ মিনিটে খালেদা জিয়া ও তাঁর সফরসঙ্গীদের বহনকারী কাতার রাজপরিবারের বিশেষ বিমান (এয়ার অ্যাম্বুলেন্স) ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। ২০০৮ সাল থেকে লন্ডনে তারেক রহমানের সঙ্গে বসবাস করছেন তাঁর স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান ও মেয়ে জাইমা রহমান।
খালেদা জিয়ার সঙ্গে ডা. জুবাইদা রহমানও দেশে ফিরেছেন। এর ফলে তাঁর ১৭ বছরের নির্বাসিত জীবনের অবসান হলো। দেশে ফিরে বাবার ধানমন্ডির বাসায় থাকার ইচ্ছা পোষণ করেছেন তিনি।
ডা. জুবাইদাকে বরণ করে নিতে ধানমন্ডির ৫ নম্বর রোডে তাঁর বাবার বাড়ি মাহবুব ভবনও প্রস্তুত করা হয়েছে। বাড়িটি সুসজ্জিত করার পাশাপাশি তাঁর স্বাচ্ছন্দ্য ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে বাড়তি ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০০৮ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর তারেক রহমান, তাঁর সহধর্মিণী জুবাইদা রহমান ও জুবাইদা রহমানের মা ইকবাল মান্দ বানুর বিরুদ্ধে কাফরুল থানায় মামলা করে দুদক। এ মামলায় জুবাইদা রহমানকে তিন বছরের কারাদ ও ৩৫ লাখ টাকা অর্থদ দেন ঢাকার একটি আদালত। গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর জুবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে বিচারিক আদালতের ওই সাজা স্থগিত হয়। জুবাইদা রহমান ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করেন। পরে লন্ডনের ইমপেরিয়াল কলেজ থেকে মেডিসিনে এমএসসি করেন। তিনি চিকিৎসকদের সিভিল সার্ভিস (বিসিএস) পরীক্ষায় প্রথম হয়ে ১৯৯৫ সালে চিকিৎসক হিসেবে সরকারি চাকরিতে যোগ দেন। ২০০৮ সালে শিক্ষা ছুটি নিয়ে লন্ডনে যাওয়ার পর দ্বিতীয় মেয়াদে ছুটি বাড়ানোর পরও ফেরত এসে চাকরিতে যোগ না দেওয়ায় তাঁকে বরখাস্ত করে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। জুবাইদা রহমানের জন্ম সিলেট জেলায়। তিনি প্রয়াত রিয়ার অ্যাডমিরাল মাহবুব আলীর মেয়ে। মাহবুব আলী সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের শাসনামলে নৌবাহিনীর প্রধান ছিলেন। এরশাদ সরকারের সময় তিনি যোগাযোগ ও কৃষিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধের প্রধান সেনাপতি জেনারেল এম এ জি ওসমানী জুবাইদা রহমানের চাচা। ১৯৯৪ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি তারেক রহমানের সঙ্গে জুবাইদা রহমানের বিয়ে হয়। ১৯৯৫ সালে বিসিএস স্বাস্থ্য ক্যাডারে যোগ দেন তিনি। ২০০৮ সালে শিক্ষা ছুটি নিয়ে স্বামী তারেক রহমানের চিকিৎসার জন্য লন্ডনে যান।