সদর আলী ওরফে সোহরাব, আলমগীর, জুয়েল ও সায়েদুর রহমান একই বাড়ির বিভিন্ন রুমে থাকতেন। তাদের মধ্যে সম্পর্ক ভালো থাকলেও জুয়েল পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে সোহরাবের স্ত্রীর সঙ্গে। আলমগীরের সহায়তায় জুয়েল সোহরাবের স্ত্রীকে ভাগিয়ে নিয়ে যায়। এ সময়ে সোহরাব চেষ্টা করে সায়েদুরের স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়ায় জড়াতে। বিষয়টি নিয়ে সোহরাব ও সায়েদুরের মধ্যে হাতাহাতিও হয়। এরই মধ্যে ফিরে আসে সোহরাবের স্ত্রী। সায়েদুর বাদে তিনজনই কুকর্মে জড়ালেও ঠিকই আবার মিলে যান তারা। আর্থিক অনটনে নিরীহ সায়েদুরের ভাড়ায়চালিত অটোরিকশা ছিনতাইয়ের পরিকল্পনা করে। কিন্তু সায়েদুর অটোরিকশা দিতে অস্বীকৃতি জানালে নির্মমভাবে খুন করা হয়। দুই বছর আগে ঢাকার ধামরাইয়ে সংঘটিত অটোরিকশাচালক সায়েদুর হত্যাকাণ্ডে তার এক সময়ের ঘনিষ্ঠ সোহরাব ও আলমগীরকে গ্রেপ্তারের পর এসব তথ্য জানিয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। গতকাল রাজধানীর উত্তরায় ঢাকা জেলা পিবিআই কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান পিবিআই ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার মো. কুদরত-ই-খুদা।
তিনি জানান, ২০২৩ সালের ২৮ নভেম্বর সকালে ধামরাই উপজেলার বাইশাকান্দা ইউনিয়নের কেস্টখালী গ্রামের একটি ধান খেতের পাশ থেকে অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তদন্তে জানা যায়, ২৭ নভেম্বর সন্ধ্যা থেকে ২৮ নভেম্বর সকাল পর্যন্ত যে কোনো সময় অজ্ঞাতনামা দুর্বৃত্তরা তাকে হত্যা করে লাশ ফেলে যায়। পরে নিহত ব্যক্তির পরিচয় শনাক্ত হয়। তিনি হলেন- সায়েদুর রহমান। পেশায় একজন অটোরিকশাচালক। এ ঘটনায় ধামরাই থানায় হত্যা মামলা হয় এবং মামলাটি পরে তদন্তের জন্য পিবিআইয়ের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পিবিআইয়ের তদন্তে চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসে। তথ্যপ্রযুক্তি ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে প্রথমে সোহরাবকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মূল আসামি আলমগীরকেও গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের পর দুজনেই ১৯ সেপ্টেম্বর আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।