বেতন বৃদ্ধি ও ভাতা দেওয়াসহ একাধিক দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো রাজশাহী-ঢাকা রুটে দূরপাল্লার অধিকাংশ বাস চলাচল বন্ধ আছে। ফলে যাত্রীরা চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন। সোমবার সকাল থেকে শ্রমিকরা অনির্দিষ্টকালের জন্য বাস চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেন। গতকাল সকালেও রাজশাহীর শিরোইল বাস টার্মিনালে ন্যাশনাল, দেশ, হানিফ, গ্রামীণ ও শ্যামলী ট্রাভেলসের কাউন্টার বন্ধ দেখা গেছে। ফটকের সামনে ঝুলছে কর্মবিরতির ব্যানার, শ্রমিকরা মাঝে মধ্যে স্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ করছেন।
শ্রমিকদের অভিযোগ, দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে তাদের বেতন বাড়ানো হয়নি। বর্তমানে চালক এক ট্রিপে পান মাত্র ১২০০ টাকা, হেলপার ৬০০ টাকা ও সুপারভাইজার আরও কম।
তারা দাবি তুলেছেন- চালকের বেতন ট্রিপপ্রতি ২ হাজার, হেলপারের ১ হাজার ও সুপারভাইজারের ১১০০ টাকা নির্ধারণের পাশাপাশি হোটেল ভাড়া ও খাবারের খরচ ভাতা হিসেবে দেওয়ার জন্য।
ন্যাশনাল ট্রাভেলসের চালক আলী হোসেন বলেন, ১৭ বছর ধরে আমাদের বেতন বাড়ানো হয়নি। প্রতিবার মালিক পক্ষ আশ্বাস দিলেও বাস্তবে কিছু হয় না। তাই এবার সব শ্রমিক একসঙ্গে আন্দোলনে নেমেছি।
রাজশাহী পরিবহন গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম হেলাল বলেন, আমরা বারবার মালিক পক্ষের সঙ্গে বসেছি। সর্বশেষ তারা আশ্বাস দিয়েছিল; কিন্তু সেটির বাস্তব প্রয়োগ না হওয়ায় শ্রমিকরা আবারও আন্দোলনে নেমেছেন।
এদিকে হঠাৎ বাস চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় যাত্রীরা বিকল্প পরিবহনের খোঁজে দিশাহারা হয়ে পড়েছেন। তবে একতা পরিবহন ও কিছু লোকাল বাস চলায় সেখানে উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে। ট্রেনের টিকিটও মিলছে না বলে অভিযোগ করেছেন অনেক যাত্রী।