রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে রাশিয়া থেকে কেনা হচ্ছে ৩৫ হাজার টন মিউরেট-অব-পটাশ (এমওপি) সার। প্রতি টনের দাম ধরা হয়েছে ৩৬১ ডলার। রাশিয়ার জেএসসি ‘ফরেন ইকোনমিক করপোরেশন’ থেকে এ সার আমদানি করা হবে। এ সার আমদানিতে ব্যয় হবে ১ কোটি ২৬ লাখ ৩৫ হাজার মার্কিন ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ ১৫৪ কোটি ৯০ লাখ ৫১ হাজার টাকা। গতকাল সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে এ সংক্রান্ত ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। কৃষি মন্ত্রণালয় ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে রাশিয়া থেকে ৩৫ হাজার টন এমওপি সারসহ ৬০ হাজার টন ইউরিয়া সার কেনা হবে। এতে ব্যয় হবে ৪৭২ কোটি ৮ লাখ ৬৬ হাজার টাকা। বৈঠকে সার কেনার পাশাপাশি সার সংরক্ষণ ও বিতরণের সুবিধার্থে রাজশাহীতে ২৫ হাজার টন ধারণক্ষমতার একটি গুদাম নির্মাণের সিদ্ধান্ত হয়।
এ ছাড়া শিল্প মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে সৌদি আরব থেকে ৩০ হাজার টন বাল্ক গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার আমদানির সিদ্ধান্ত হয়। এতে ব্যয় হবে ১ কোটি ৩৪ লাখ ২৫ হাজার ডলার বা বাংলাদেশি মুদ্রায় ১৬৪ কোটি ৫৯ লাখ ৫ হাজার টাকা। একই সঙ্গে কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেড (কাফকো), বাংলাদেশ থেকে ৩০ হাজার মেট্রিক টন ব্যাগড গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার কেনার সিদ্ধান্ত হয়। এতে ব্যয় হবে ১ কোটি ২৪ লাখ ৪৬ হাজার ২৫০ ডলার বা বাংলাদেশি মুদ্রায় ১৫২ কোটি ৫৯ লাখ ১০ হাজার ২৫০ টাকা।
বৈঠকে এসব ‘সার সংরক্ষণ ও বিতরণের সুবিধার্থে দেশের বিভিন্ন জায়গায় ৩৪টি বাফার গুদাম নির্মাণ’ প্রকল্পের আওতায় রাজশাহী-২৫০০০ টনের অধীন একটি সাইটে গোডাউন নির্মাণকাজের ক্রয় প্রস্তাবের অনুমোদন দেওয়া হয়।