বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের মহাসচিব কাদের গণি চৌধুরী বলেছেন, বাংলাদেশের ওপর চাপ সৃষ্টির জন্য ভারত ‘পুশইন’ কৌশল বেছে নিয়েছে। বাংলাভাষী ও রোহিঙ্গাদের জোর করে পুশইন করে ভারত বাংলাদেশের ভূখন্ডে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চায়। তিনি বলেন, জোর করে এক দেশ থেকে আরেক দেশে ঠেলে দেওয়া আন্তর্জাতিক মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন। গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবে সার্বভৌমত্ব সুরক্ষা পরিষদ আয়োজিত অবৈধ পুশইন বন্ধ এবং সার্বভৌমত্ববিরোধী করিডর প্রদান বন্ধের দাবিতে আলোচনা সভায় তিনি এসব বলেন। বিচারপতি আবদুস সালাম মামুনের সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশ নেন শিক্ষাবিদ প্রফেসর ড. সুকোমল বড়ুয়া, মেজর জেনারেল (অব.) আমসা আমিন, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এ টি এম জিয়াউল হাসান, কর্নেল (অব.) খন্দকার ফরিদুল আকবর, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মফিজুর রহমান, অধ্যাপক এম শাহজান সাজু, ড. নাসির আহমেদ।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন মোস্তফা আল ইযায।
কাদের গণি চৌধুরী বলেন, ‘আন্তর্জাতিক সীমান্ত আইনবহির্ভূতভাবে বাংলাদেশে পুশইন অব্যাহত রেখেছে ভারত। সীমান্তে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে এবং দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক রাখার স্বার্থে এমন ঘটনা গ্রহণযোগ্য নয়’ জানিয়ে বাংলাদেশ চিঠি দিলেও, মোটেই তা আমলে নিচ্ছে না ভারত সরকার। এ ছাড়া বিজিবি ও বিএসএফের মধ্যে দফায় দফায় পতাকা বৈঠক হলেও চোরাপথে বা বিজিবির অগোচরে পুশইনের ঘটনা বেড়ে চলছে, যা বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার ক্ষেত্রে বড় ধরনের হুমকি। অবস্থাদৃষ্টে মনে হয়, ভারত পায়ে পাড়া দিয়ে ঝগড়া বাঁধাতে চায়।