শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার বলেছেন, এখন সময় এসেছে তরুণদের শ্রেণিকক্ষে ফিরে যাওয়ার, দেশ গড়ার কারিগর হিসেবে নিজেকে তৈরি করার। একটা অস্থিার সময় পার করছে সবাই, যা বিচক্ষণতার মধ্য দিয়ে পার করতে হবে। শিক্ষার ক্ষেত্রে বিশ্বমানের মাপকাঠিতে নিজেদের বিবেচনা করার জন্য কাজ করছে সরকার। গতকাল ঢাকা কলেজের অডিটোরিয়ামে বিসিএস জেনারেল এডুকেশন অ্যাসোসিয়েশনের আয়োজনে ‘জুলাই গণ অভ্যুত্থান ও শিক্ষা ক্যাডারের ভাবনা’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। বিসিএস জেনারেল এডুকেশন অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক ড. খান মইনুদ্দিন আল মাহমুদ সোহেলের সভাপতিত্বে আলোচনায় আরও উপস্থিাত ছিলেন শিক্ষা সচিবের রুটিন দায়িত্বে থাকা মো. মজিবর রহমান, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক জসীম উদ্দিন আহমেদ, আয়োজক সংগঠনের সাবেক সভাপতি অধ্যাপক নাসরিন বেগম প্রমুখ।
শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, ছাত্র-জনতা যে চেতনা ধারণ করে দেশ ফ্যাসিস্টমুক্ত করেছে, সে চেতনাকে বাঁচিয়ে রেখে শিক্ষা ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জন করতে হবে। মুক্তচিন্তার সুযোগ না থাকায় বিগত সময়ে শিক্ষার বিকাশ ঘটেনি।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাাপন করেন আয়োজক অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যসচিব ড. মাসুদ রানা খান। প্রবন্ধে জুলাই অভ্যুত্থানে সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারদের ভূমিকা ও ভাবনা তুলে ধরা হয়। উঠে আসে শিক্ষকদের বঞ্চনার কথাও। প্রবন্ধে বলা হয়, যে শিক্ষা ক্যাডাররা মানুষকে মানবসম্পদে পরিণত করেন তারা চতুর্থ গ্রেডের পর আর কোনো পদোন্নতি পান না। দীর্ঘদিন পদোন্নতি পান না এমন ক্যাডার শিক্ষা সেক্টরে অনেক রয়েছেন। প্রভাষকরা ১২-১৩ বছর ধরে পদোন্নতি পান না, যা জুলাই স্পিরিটের সঙ্গে বেমানান।