কক্সবাজারের রামুতে ট্রেনের ধাক্কায় সিএনজি চালিত অটোরিকশার চালকসহ পাঁচজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ জনতা কক্সবাজার-চট্টগ্রাম রেললাইন অবরোধ করে বিক্ষোভ করে। প্রায় পৌনে তিন ঘণ্টা রেল চলাচল বন্ধ থাকার পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
শনিবার (২ আগস্ট) বেলা পৌনে দুইটার দিকে রামুর রশিদনগর রেলক্রসিংয়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে। ইসলামাবাদ স্টেশনের সহকারী স্টেশন মাস্টার আবদুল কাইয়ুম জানান, দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে কক্সবাজার স্টেশন থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়া ৮১৩ নং ‘পর্যটক এক্সপ্রেস’ ট্রেনটির ধাক্কায় দুর্ঘটনাটি ঘটে।
দুর্ঘটনার পর ট্রেনটি গন্তব্যে চলে গেলেও, চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা কক্সবাজারগামী ‘সৈকত এক্সপ্রেস’ ট্রেনকে ঘটনাস্থলে আটকে রেখে বিক্ষোভ করে স্থানীয়রা। নিহতদের মরদেহ প্রায় এক কিলোমিটারজুড়ে রেললাইনে পড়ে ছিল। বিক্ষুব্ধ জনতা মরদেহ উদ্ধার ও পানিরছড়া-ভারুয়াখালী রেলক্রসিংয়ে গেইটম্যান নিয়োগের ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত ট্রেন চলতে দেবে না বলে জানায়।
একপর্যায়ে র্যাব, সেনাবাহিনী ও পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সহযোগিতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বিকেল ৫টার পর অবরুদ্ধ ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
রামু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাশেদুল ইসলাম বলেন, প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিক্ষোভকারীদের দাবির বিষয়ে আশ্বাস দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে।
রামু থানার ওসি তৈয়বুর রহমান জানান, পানিরছড়া-ভারুয়াখালী রেলক্রসিংয়ে ট্রেনের ধাক্কায় অটোরিকশাটি ছিটকে গেলে চালক হাবিব উল্লাহ (৪৮) ও যাত্রী পোকখালী ইউনিয়নের পূর্ব গোমাতলী এলাকার মরিয়ম আক্তার (৪৫), তার বোন আসমা আরা (১৩), রেনু আরার তিন বছরের ছেলে আশেক উল্লাহ ও দেড় বছরের ছেলে আতা উল্লাহ নিহত হন।
ভারুয়াখালী ইউপি সদস্য ফজলুল হক জানান, এ ক্রসিংয়ে আগে একাধিক দুর্ঘটনায় অন্তত তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু এখনও এখানে কোনো গেইট স্থাপন করা হয়নি।
বিডি প্রতিদিন/আশিক