সিলেটে স্বেচ্ছাসেবক দলের এক নেতার ওপর ছাত্রলীগের এক নেতা ও তার সহযোগীরা হামলা চালিয়েছে। ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের ধারাল অস্ত্রের কোপে গুরুতর আহত হয়েছেন মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সদস্য সচিব আজিজুল হোসেন আজিজ।
শুক্রবার রাত ১১টার দিকে সিলেট আইন মহাবিদ্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার জেরে রাতে মাছিমপুর এলাকায় তুলকালাম ঘটেছে। ছাত্রলীগ নেতা আবুল কালাম দীপুর লোকজনের সাথে স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়েছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে।
শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত এ ঘটনায় কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ। তবে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে বলে জানিয়েছেন কোতোয়ালি থানার ওসি জিয়াউল হক।
জানা গেছে, সিলেট আইন মহাবিদ্যালয়ের পার্শ্ববর্তী একটি রেস্টুরেন্টের সামনে মোটরসাইকেল পার্কিং নিয়ে স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা আজিজুল হোসেন আজিজের কর্মীদের সাথে ছাত্রলীগ নেতা দীপুর অনুসারীদের হাতাহাতি হয়। খবর পেয়ে আজিজুল হোসেন আজিজ ঘটনাস্থলে গেলে দীপুর নেতৃত্বে তার লোকজন হামলা চালায়। তাদের ধারাল অস্ত্রের আঘাতে আজিজ গুরুতর আহত হন। ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আজিজের মাথায় ১৮টি সেলাই দেওয়া হয়েছে।
এদিকে, আজিজের ওপর হামলার খবর পেয়ে নগরের বিভিন্ন স্থান থেকে বিএনপির অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা মাছিমপুর এলাকায় জড়ো হন। তারা দীপুকে খুঁজতে মাছিমপুর এলাকায় যান। এ সময় দীপুর লোকজনের সাথে তাদের সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হন। ছাত্রলীগ নেতা দীপুর পক্ষ নিয়ে সংঘর্ষে অংশ নেওয়া লোকজন বিএনপির অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের ৩১টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করেন।
এরপর বিএনপির অঙ্গ সংগঠনের কয়েকশ’ নেতাকর্মী উপশহর রোজভিউ পয়েন্টে জড়ো হলে সেখানে সেনাবাহিনীর একটি দল পৌঁছায়। তাদেরকে দেখে নেতাকর্মীরা সরে যান। পরে পুলিশ ও সেনাবাহিনী মিলে মাছিমপুর এলাকায় গিয়ে ভাঙচুরকৃত ৩১টি মোটরসাইকেল ভ্যানে তুলে পুলিশ লাইনে পাঠায়।
সিলেট কোতোয়ালি থানার ওসি জিয়াউল হক জানান, আবুল কালাম দীপু চিহ্নিত অপরাধী। তার বিরুদ্ধে অনেকগুলো মামলা রয়েছে। ঘটনার পর থেকে দীপুকে আটকের চেষ্টা চলছে। কিন্তু শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত এ ঘটনায় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনায় স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা আজিজুল হোসেন আজিজের পক্ষ থেকে মামলার প্রস্তুতি চলছিল বলে জানান তিনি।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল