রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) সুইমিংপুলে সাঁতার কাটতে গিয়ে ছাত্রী মৃত্যুর ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদন নির্ধারিত সময়ে জমা হয়নি। এতে বিক্ষোভ নিয়ে প্রশাসন ভবন ঘেরাও করেছেন শিক্ষার্থীরা। টায়ারে অগ্নিসংযোগও করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।
শিক্ষার্থীরা বলছেন, তদন্তের নাটক সাজিয়ে এভাবেই সবকিছু ধামাচাপা দেওয়া হয়। প্রতিবেদন আর আশার মুখ দেখে না। এভাবে প্রকৃত সত্য আমরা জানতে পারি না। তিনদিনের মধ্যে প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদন জমার কথা ছিল। কিন্তু সেটা এখনো হয়নি। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত চাই। জড়িতদের বিচার চাই।
এর আগে, ২৬ অক্টোবর বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সুইমিংপুলে সাঁতার কাটতে গিয়ে সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী সায়মা হোসেন মারা যান। তিনি ছাত্র সংসদ নির্বাচনে মন্নুজান হল সংসদ থেকে ক্রীড়া সম্পাদক পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী ছিলেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র বলেছে, ওইদিন বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সুইমিংপুলে সাঁতার কাটার একপর্যায়ে তিনি পানিতে ডুবে যান। পরে তাকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব অবহেলার অভিযোগ তুলে মধ্যরাত পর্যন্ত উপাচার্যের বাসভবন ঘেরাও করে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা। উপাচার্য সুষ্ঠু তদন্তের আশ্বাস দিলে বিক্ষোভ শেষ হয়। তবে পরদিন থেকেই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের দাবিতে বিক্ষোভ চালিয়ে আসছেন সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী।
ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তে ২৬ অক্টোবর রাতেই উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) ড. ফরিদ উদ্দীন খানকে আহ্বায়ক এবং তিনজন শিক্ষক ও একজন শিক্ষার্থী প্রতিনিধিকে সদস্য করে তদন্ত কমিটি গঠিত হয়। কমিটিকে সার্বিক পর্যবেক্ষণ সম্পন্ন করে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে প্রাথমিক এবং ১০ কার্যদিবসের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন জমার নির্দেশ দেওয়া হয়।
তদন্তের অগ্রগতির বিষয়ে জানতে তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক ড. ফরিদ খানের সঙ্গে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও সেটা সম্ভব হয়নি।
বিডি প্রতিদিন/এমআই