ফরিদপুরের সদরপুরে শ্যালিকাকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ শেষে হত্যার অভিযোগে দুলাভাইসহ চারজনকে আমৃত্যু কারাদণ্ড এবং মামলার আলামত নষ্টের দায়ে দুজনকে ৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) দুপুরে ফরিদপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) শামীমা পারভীন এ রায় ঘোষণা করেন। একইসঙ্গে প্রত্যেককে দেড় লাখ টাকা অর্থদণ্ড করা হয়। দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের মধ্যে ৫ জন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে তাদের পুলিশি প্রহরায় জেলহাজতে পাঠানো হয়।
আদালত ও মামলার নথি সূত্রে জানা যায়, ২০১২ সালের ১ অক্টোবর সদরপুরে জাহাঙ্গীর ব্যাপারী দলবল নিয়ে রাত ১টার দিকে তার শ্বশুরবাড়িতে যায়। এ সময় জাহাঙ্গীর তার স্ত্রী অসুস্থ হয়ে পড়েছে এমন কথা বলে শ্যালিকাকে ঘরের বাইরে নিয়ে আসে। পরে জোরপূর্বক তাকে অন্যত্র নিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ শেষে হত্যা করে। পরে হত্যাকারীরা লাশ গোপনে দাফন করে। এ ঘটনায় সে সময়ে মেয়েটির মা বাদী হয়ে জামাই জাহাঙ্গীরসহ কয়েকজনের নামে ফরিদপুর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় দীর্ঘ ১৩ বছর পর আদালত এ রায় ঘোষণা করেন।
আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলো- জাহাঙ্গীর ব্যাপারী, কামরুল মৃধা, আলী ব্যাপারী ও বক্কার ব্যাপারী। মামলার আলমত নষ্টের অভিযোগে ৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলো- মমতাজ বেগম ও কালাম ব্যাপারী।
ফরিদপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন টাইব্যুনালের পিপি অ্যাডভোকেট গোলাম রব্বানী ভুঁইয়া রতন বলেন, এক নারীকে ধর্ষণ শেষে হত্যার অভিযোগে চার আসামির আমৃত্যু কারাদণ্ড এবং মামলার আলামত নষ্টের অভিযোগে দুজনকে পাঁচ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
বিডি প্রতিদিন/কেএইচটি