গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ধোপাডাঙ্গা ইউনিয়নে পারিবারিক কলহের জেরে নিজের শরীরে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়া রায়হান মিয়া (২৭) বৃহস্পতিবার ভোর রাত ৩ টার দিকে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালের বার্ণ ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
ধোপাডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোকলেছুর রহমান মন্ডল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে, রায়হান মিয়া গত মঙ্গলবার নিজের শরীরে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন। প্রথমে তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং পরে ঢাকায় পাঠানো হয়। তিনি উত্তর ধোপাডাঙ্গা গ্রামের চান মিয়ার ছেলে।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, রায়হান মিয়া অনলাইনে জুয়া খেলার প্রতি আসক্ত ছিলেন এবং অন্য নারীর সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে সমস্যায় পড়েছিলেন। স্ত্রী আদুরী বেগম তার অত্যাচর সহ্য করতে না পেরে কয়েক সপ্তাহ আগে সন্তানদের সঙ্গে বাবার বাড়ি চলে যান। ঘটনার দিন রায়হানের বাবা ছেলে ও স্ত্রীর মধ্যে মধ্যস্থতা করার চেষ্টা করলেও রায়হান মোবাইল ফোনে হুমকি দিয়ে পরিস্থিতি আরও উত্তেজিত করেন। একপর্যায়ে তিনি নিজের শরীরে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন এবং পুকুরে লাফ দেন। পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান।
রায়হান মিয়ার শাশুড়ি বলেন, ‘বিয়াই বাড়িতে আসেন আমার মেয়েকে নিয়ে যাওয়ার জন্য। আমার মেয়ে তার শ্বশুরকে বলেন, ‘‘বাবা আমি তোমার সাথে যাবো। কিন্তু ছেলে তোমার সামনে আমাকে মারধর করে তুমিতো কিছু বলো না? আর যেনো আমাকে মারধর না করে তোমার ছেলে।” সাতপাঁচ ভেবে ছেলের বউকে না নিয়ে বিয়াই চলে যান।
এ নিয়ে রায়হানের পরিবারের লোকজন কোনো কথা বলতে রাজি হননি।
সুন্দরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল হাকিম আজাদ বলেন, ‘এ নিয়ে থানায় কোনো অভিযোগ হয়নি।’
বিডি-প্রতিদিন/আশফাক