প্রকৃতিতে বর্ষার আগমন হলেও কখনো রোদ আবার কখনো বৃষ্টিতে যখন ত্বক ঘেমে-নেয়ে বিবর্ণ, ক্লান্ত আর তৈলাক্ত হয়ে পড়ে তখন প্রয়োজন একটু সতেজতার। আর এই সতেজতাই এনে দিতে পারে একটি ঘরে তৈরি ‘ফেস টোনার’।
অনেকে ভাবেন, টোনার বুঝি খুব একটা দরকারি নয়। তবে ত্বক তৈলাক্ত, ব্রণপ্রবণ কিংবা রোদে পুড়ে কালো হয়ে যায়, তাহলে টোনার ব্যবহার না করে উপায় নেই। এটি মূলত দেখতে তরল জাতীয় পদার্থ এবং অনেক সময় স্বচ্ছ না-ও হতে পারে। তবে ত্বক পরিষ্কার করার ঠিক পরেই এটি ব্যবহার করা হয়। টোনার কয়েকটি কাজ করে থাকে। তন্মধ্যে অন্যতম- সাবানের অবশিষ্টাংশ পরিষ্কার করা, ত্বকের সম্ভাব্য হাইড্রোজেন (pH) নিরপেক্ষ করা এবং লোমকূপের দৃশ্যমানতা কমানো ইত্যাদি। আর হ্যাঁ, টোনার ধুয়ে ফেলার দরকার নেই। আসলে একে ঠিকঠাক শোষিত হতে দিলে আরও ভালো কাজ করে।
► অ্যালোভেরা :
♦ ১/২ কাপ গোলাপ জল
♦ ১/২ কাপ অ্যালোভেরা
উপাদান দুটি ভালোভাবে মিশিয়ে নিন, তারপর পরিষ্কার ত্বকে লাগান।
উপকারিতা- এই প্রাকৃতিক উপাদানে তৈরি টোনার ত্বককে উজ্জ্বলতার পাশাপাশি ব্রণের বিরুদ্ধে লড়াই করে। এটি ময়েশ্চারাইজিংও বটে, তাই শুষ্ক ত্বকের জন্য এটি একটি দুর্দান্ত টোনার।
► শসার টোনার :
♦ ১টি শসা
♦ ১ কাপ পানি
শসা কেটে পানি দিয়ে ব্লেন্ড করুন। একটি ছাঁকনি দিয়ে ছেঁকে নিন। তরলটি একটি স্প্রে বোতলে রেখে ফ্রিজে ঠান্ডা করে ¯েপ্র কিংবা তুলো দিয়ে মুখে লাগান।
উপকারিতা- রোদে পোড়া ত্বকে আরাম দেয়। ত্বক সতেজ ও আর্দ্র রাখে। দাগ ও ভাঁজ কমায়। প্রতিদিন এক গ্লাস শসার রস খেলেও ত্বক প্রাকৃতিকভাবে উজ্জ্বল হয়।
► গোলাপ জল :
♦ তাজা গোলাপের পাপড়ি
♦ পরিমাণমতো পানি।
গোলাপের পাপড়ি ধুয়ে পানিসহ পাত্রে কম আঁচে গরম করুন- যতক্ষণ না পাপড়ি রং হারায়। এরপর ঠাণ্ডা করে ছেঁকে বোতলে নিয়ে ফ্রিজে সংরক্ষণ করুন।
উপকারিতা- ত্বককে মসৃণ, কোমল ও আর্দ্র করে। প্রাকৃতিক ‘পিএইচ ব্যালান্স’ বজায় রাখে। সংবেদনশীল ত্বকের জন্য আদর্শ। ব্রণও প্রতিরোধ করে।
তথ্যসূত্র : ফেমিনা