রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) পোষ্য কোটা বাতিল হলেও গোপনে ভর্তি চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন সাবেক সমন্বয়ক সালাউদ্দিন আম্মার। সমালোচনা করেছেন সংশ্লিষ্ট অনেকেই।
এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা কমিটির আহ্বায়ক উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মাঈন উদ্দিন বলেন, পোষ্য কোটা বাতিল হয়েছে। এ কোটায় ভর্তির কোন সুযোগ নেই। সোস্যাল মিডিয়ায় কে বা কারা একটি তালিকা প্রচার করছে, যেটা বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিশিয়াল কোন তালিকা নয়।
সাবেক এ সমন্বয়কের প্রকাশিত তালিকা থেকে জানা গেছে, ২০২৪-২৫ সেশনে বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক প্রথমবর্ষ ভর্তি পরীক্ষায় কোটা থেকে ৪৮ জনের তালিকা করা হয়েছে। এতে ৭ জন শিক্ষক ও ১৭ জন কর্মকর্তাসহ ৪৮ জন কর্মচারীর সন্তানের নাম রয়েছে। ভর্তি পরীক্ষায় যারা ন্যূনতম পাশ নম্বর ৪০-৫৫ পর্যন্ত পেয়ে বিভিন্ন ইউনিট থেকে পাশ করেছেন। এ তালিকা জনসম্মুখে আসার পর নানা সমালোচনা করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
সালাউদ্দিন আম্মারের অভিযোগ, পোষ্য কোটা বাতিল হয়েছে। অথচ গোপনে এ কোটায় ভর্তির চেষ্টা চলছে। যার একটি গোপন তালিকা পেয়েছি। উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মাঈন উদ্দিনকে উদ্দেশ্য করে এই তালিকায় কোনো বিভাগে ভর্তি হলে সেটার ভয়াবহতা নিয়েও ভাবার হঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, আগামী ১৩ আগস্ট পর্যন্ত এবছরের ভর্তি কার্যক্রম চলবে। গণবিজ্ঞপ্তি অনুসারে মেরিট অনুসারে ভর্তি প্রক্রিয়া চলছে৷ ১৭ আগস্ট থেকে নতুন বর্ষের ক্লাস শুরু হবে।
এর আগে, গত জানুয়ারিতে বিশ্ববিদ্যালয়ে পোষ্য কোটা বাতিলের দাবিতে লাগাতার আন্দোলন হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের বিভক্ত হয়ে পক্ষে-বিপক্ষে কর্মসূচিও পালন করেন। ২ জানুয়ারি শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে পোষ্য কোটা বাতিল ঘোষণা করেন উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ হাসান নকীব। মূলত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারী ও কর্মকর্তাদের সন্তানদের বিশেষ সুবিধা প্রদান করে স্নাতকে ভর্তি প্রক্রিয়াই ছিল পোষ্য কোটা। এতে অনেকে অকৃতকার্য হয়েও ভর্তির সুযোগ পেত। ফলে সাধারণ শিক্ষার্থীরা এমন কার্যক্রমের বিরোধিতা করে আন্দোলনে করেন।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত