হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যোতির্বিজ্ঞানী অধ্যাপক অ্যাভি লোয়েব সম্প্রতি এক রহস্যময় মহাজাগতিক বস্তু নিয়ে নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছেন। তার মতে, বস্তুটি প্রাকৃতিক না হয়ে কৃত্রিমভাবে তৈরি হতে পারে। এটি ভিনগ্রহী প্রযুক্তির ফলও হতে পারে।
‘৩আই/অ্যাটলাস’ (3I/ATLAS) নামে পরিচিত এই বস্তুটি প্রথম শনাক্ত হয় চলতি বছরের জুলাই মাসের শুরুতে, চিলির ডিপ র্যান্ডম সার্ভে টেলিস্কোপে। এটি আকারে প্রায় ম্যানহাটন দ্বীপের সমান। এটি সৌরজগতের বাইরের অঞ্চল থেকে এসেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
নাসা জানিয়েছে, এটি পৃথিবীর জন্য কোনো ঝুঁকি তৈরি করবে না এবং সূর্যের সবচেয়ে কাছাকাছি পৌঁছাবে ২০২৫ সালের ৩০ অক্টোবর, প্রায় ২৭ কোটি কিলোমিটার দূরত্বে।
অধ্যাপক লোয়েব জানিয়েছেন, সাধারণ ধূমকেতুর ক্ষেত্রে বস্তুটির পেছনে লেজ বা ধোঁয়ার রেখা দেখা যায়। কিন্তু ৩আই/অ্যাটলাসের ক্ষেত্রে আলো পিছনে নয়, বরং সামনের দিকে ছড়াচ্ছে—যা আগে কখনো দেখা যায়নি।
হাবল স্পেস টেলিস্কোপের ২১ জুলাই তোলা ছবিতেও একই দৃশ্য ধরা পড়ে। আশ্চর্যের বিষয়, এই আলোর পেছনে কোনো গ্যাসীয় উপাদানের প্রমাণ মেলেনি।
তিনি ধারণা করছেন, এই বস্তুটি কোনো বিশেষ উদ্দেশ্যে তৈরি হতে পারে। সম্ভবত পর্যবেক্ষণ বা অন্য কোনো মিশনের জন্য। লোয়েবের মতে, এর গতিপথও অস্বাভাবিক। এটি সূর্যের চারপাশে গ্রহগুলোর কক্ষপথের সমতলে প্রায় ৫ ডিগ্রির মধ্যে অবস্থান করছে। এটি যখন সূর্যের সবচেয়ে কাছাকাছি আসবে, তখন পৃথিবী থাকবে বিপরীত পাশে। যার ফলে বস্তুটি গোপনে গতিবিধি চালানোর সুযোগ পেতে পারে।
নাসার তথ্যমতে, এটি সৌরজগতের বাইরের অঞ্চল থেকে আসা তৃতীয় নিশ্চিত বস্তু। এর কক্ষপথ হাইপারবোলিক আকৃতির (খোলা রেখার মতো), যা সূর্যের চারপাশে আবর্তন করে না। এটিই এর আন্তঃনাক্ষত্রিক উৎসের প্রমাণ।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল