আয়নায় নিজের মলিন ত্বক দেখে হতাশ হচ্ছেন? ভাবছেন কীভাবে হারানো উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনা যায়? ত্বককে উজ্জ্বল করে দীপ্তিময় করার উপায় শুধু প্রসাধনী ব্যবহারেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং একটি সুস্থ জীবনধারা, সঠিক পরিচর্যা এবং ধৈর্যের সমন্বয়ও প্রয়োজন। শুষ্ক ত্বক, মৃত কোষ জমে থাকা, অপর্যাপ্ত ঘুম, বা দূষণের মতো কারণ ত্বককে নিষ্প্রভ করে তোলে। এমনকি বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ত্বকের কোষের পুনর্নবীকরণ প্রক্রিয়াও ধীর গতি পেতে থাকে।
তবে সুখবর হলো, এর সমাধানও আছে। বিশেষজ্ঞরা বলেন, এমন উপাদান ব্যবহার করা উচিত যা ত্বকের রং সমান করে, দাগ হালকা করে এবং সুস্থ কোষের পুনর্নবীকরণকে উৎসাহিত করে। রইল তার আদ্যোপান্ত...
১. ভিটামিন সি ব্যবহার করুন : ত্বক উজ্জ্বল করার জন্য ভিটামিন সি অন্যতম সেরা উপাদান। এটি কালো দাগ হালকা করে, উজ্জ্বলতা বাড়ায় এবং পরিবেশগত ক্ষতি থেকে ত্বককে সুরক্ষা করে। এটি ব্যবহার করলে সারা দিন সূর্যের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে ত্বক সুরক্ষিত থাকে।
২. নিয়মিত এক্সফোলিয়েশন : ত্বকের নিষ্প্রভতার একটি প্রধান কারণ- মৃত কোষ জমে থাকা। সপ্তাহে এক থেকে দুইবার গ্লাইকোলিক বা ল্যাকটিক অ্যাসিডের মতো AHA (Alpha Hydroxy Acid) ব্যবহার করে এক্সফোলিয়েট করলে ত্বক সতেজ হয়। তৈলাক্ত ত্বকে এটি ঘন ঘন ব্যবহার করা যেতে পারে।
৩. পানি পান ও ময়েশ্চারাইজার : ত্বকের ভিতর ও বাইরে উভয় থেকেই হাইড্রেটেড থাকা জরুরি। প্রচুর পরিমাণে জল পান করুন এবং প্রতিদিন সকালে ও রাতে রোমকূপ বন্ধ করবে না এমন মৃদু ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন। রাতে এমন ময়েশ্চারাইজার বেছে নিন যা নাইট মাস্ক হিসেবেও কাজ করে।
৪. সব সময় এসপিএফ : সূর্যের ক্ষতিকর UV রশ্মি ত্বকের পিগমেন্টেশন এবং অকাল বার্ধক্যের কারণ। তাই, মেঘলা দিনেও এসপিএফ ৩০ বা তার বেশি মাত্রার সানস্ক্রিন ব্যবহার অপরিহার্য। এটি ত্বক উজ্জ্বল রাখার সহজ উপায়।
৫. স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন : নিয়মিত ব্যায়াম, সুষম খাদ্যাভ্যাস এবং পর্যাপ্ত ঘুম ত্বককে উজ্জ্বল ও সতেজ রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। অ্যালকোহল ও ধূমপান পরিহার করলে ত্বকের জেল্লা ফিরে আসে।
৬. পেশাদার চিকিৎসা নিন : ত্বকের জন্য বাড়তি যত্নের প্রয়োজন হলে কেমিক্যাল পিল বা মাইক্রোডার্মাব্রেশনের মতো পেশাদার ফেসিয়াল চিকিৎসা নিতে পারেন। যা পিগমেন্টেশন হালকা করে ত্বককে দ্রুত উজ্জ্বল করে। ভালো ফলের জন্য ডার্মাটোলজিস্টের পরামর্শ নিয়ে লেজার চিকিৎসা নিতে পারেন।
৭. উজ্জ্বলকারী উপাদান : ট্রানেক্সামিক অ্যাসিড, নিয়াসিনামাইড, কোজিক অ্যাসিড, আরবুটিন, এবং লিকোরিস রুট এক্সট্র্যাক্টের মতো উপাদান মেলানিন উৎপাদন কমিয়ে ত্বক উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে। সংবেদনশীল ত্বকের জন্য এই উপাদানগুলো নিরাপদ।