তখন সালমান খানের ক্যারিয়ার খানিকটা স্তিমিত। সালটা ২০০৩। যদিও সেই সময়ও সালমানের মেজাজ যেন সবসময় রাজার মতোই। ‘তেরে নাম’ ছবির শুটিং করছেন। এই ছবি সালমানের ক্যারিয়ারের মোড় ঘুরিয়ে দেয়।
এককথায় বলিউডে ঝড় তোলে ছবিটি। ব্যাপক সাফল্য পাওয়া এই ছবিতে তার সহ-অভিনেত্রী ছিলেন ইন্দিরা কৃষ্ণন। এখানে তিনি নায়িকা ভূমিকা চাওলার দিদির চরিত্রে অভিনয় করছিলেন। এই ছবিতে ভূমিকা ও তার দিদির সঙ্গে মতো বিরোধের দৃশ্যে দেখা যায় সালমানকে। সেই সময় তিনি অভিনেত্রীকে হুমকি দেন তার গায়ে হাত পড়লে তার নাকি ক্যারিয়ার শেষ করে দেবেন! এমন কী ইন্ডাস্ট্রি যাতে কাজ না পান সেই ব্যবস্থা করবেন।
সালমান ‘তেরে নাম’ ছবির সেটে ইন্দিরাকে ভয় দেখান তার ক্যারিয়ার শেষ করে দেবেন বলে। কোনও মারের দৃশ্যে তাকে মারা যাবে না। যদি ইন্দিরা অন্যথা করেন, সংবাদমাধ্যমের কাছে সবটা ফাঁস করে দেবেন এবং সকলকে গিয়ে বলবেন, ‘‘তুমি আমাকে মেরেছো’’।
এমন কথা শুনে কাঁদতে শুরু করেন ইন্দিরা। সালমানের দেহরক্ষী পর্যন্ত বার বার নাকি ইন্দিরাকে বলতে থাকেন ভাইয়ের গায়ে হাত দিলে রক্ষে নেই! দীর্ঘক্ষণ এমনটা চলল। তার পর সালমান এসে জানান সবটাই তার সঙ্গে রসিকতা করা হচ্ছিল। প্রায় ঘণ্টাখানেক ধরে এমনটা চলে ইন্দিরার সঙ্গে।
অভিনেত্রী কান্নাকাটি করলে হেসে ফেলেন সালমান খান। সেটে ভীষণ রকম মজার মানুষ তিনি, রসিক স্বভাবের। তাই প্রায়ই সহ অভিনেতাদের সঙ্গে এমনটা করেই থাকেন ভাইজান। সূত্র: আনন্দবাজার
বিডি প্রতিদিন/নাজিম