জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন বলেছেন, আমরা হাতে ধরে গণ-অভ্যুত্থানকে টিপে মেরে ফেলছি। আমরা হত্যা করছি গণ-অভ্যুত্থানকে। সম্প্রতি একটি আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
সামান্তা শারমিন বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা আনার জন্য অনেক কাজ করেছে। এক্ষেত্রে তাদের সফলতা মারাত্মক! শুধু এতটুকুতেই সীমাবদ্ধ। রাজনৈতিক জায়গায়, মানুষকে আশা-আকাঙ্ক্ষা দেখানোর জায়গায় এ সরকার একেবারেই ব্যর্থ হয়েছে। তাদের অ্যাকশন দেখলে মনে হয়, নিজ দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে কোনোমতে নির্বাচন দিয়ে পার পাওয়াই তাদের লক্ষ্য।
তিনি বলেন, এমন সরকারের কাছে আমি পুলিশ সংস্কার আশা করি না। পুলিশ সংস্কার বাংলাদেশের মৌলিক সংস্কারগুলোর একটা। কিন্তু পুলিশ সংস্কার কমিশনের বিষয়টি ঐকমত্য কমিশনের এজেন্ডাভুক্তই করা হয়নি। এটা তো বিরাট অন্যায় হয়েছে। কারণ বিগত ৩টি ভয়ংকর নির্বাচন পুলিশের মাধ্যমে হয়েছে। আমরা কি সংস্কারের কথা বলতে পারব না? এই পুলিশ বাহিনীকে আমরা আওয়ামী লীগের পেটুয়া বাহিনী হিসেবে দেখেছি। এখন পুলিশ বাহিনী কার?
তিনি আরও বলেন, যদি অন্তর্বর্তী সরকার কোনো কাজে বাধাগ্রস্ত হয়, তাহলে তারা সেটা সংবাদ সম্মেলন করে বলার স্বাধীনতা রাখে। কিন্তু তারা সেটা অনুভব করছেন না কেন? তারা এতো নেগোশিয়েট করতে যান কেন? সরকারের প্রেস সচিব বলেন, আমাদের সবকিছু করার ম্যান্ডেট আছে। কিন্তু সেটা শুধু কথায়, কাজে তার প্রমাণ নেই।
সামান্তা শারমিন বলেন, বাংলাদেশে গত ১৫ বছরে যে জুলুম হয়েছে, খুন হয়েছে, গুম হয়েছে, গণহত্যা হয়েছে; এগুলোর প্রত্যেকটির যদি বিচার না হয়, তাহলে এসব চলতেই থাকবে সাইকেল আকারে। বিচার হলে দায়ীদের বের করা যাবে। বিচার করতে হবে এবং মৌলিক সংস্কার বাস্তবায়ন করতে হবে। এক্ষেত্রে কোনো আপস নাই। যদি আপস করেন তাহলে আরেকটি গণ-অভ্যুত্থানের পর আমরা একই পরিস্থিতিতে পড়ব।
বিডি প্রতিদিন/এমআই