জুলাই ঘোষণাপত্র থেকে নারীকে সচেতনভাবে বাদ দেওয়া হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বেসরকারি গবেষণাপ্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম।
তিনি বলেন, ‘জুলাই ঘোষণাপত্র পুরোটা পড়েছি। এর প্রতিটি শব্দ বোঝার চেষ্টা করেছি। কোথাও নারীর উল্লেখ নেই। জুলাই ঘোষণাপত্র থেকে নারীকে সচেতনভাবে বাদ দেওয়া হয়েছে।’
শনিবার (৯ আগস্ট) রাজধানীতে ‘সংসদে নারী আসন ও নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন’ শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।
খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, ‘জুলাই ঘোষণাপত্র যারা করেছেন, তার ভেতরে তরুণ প্রতিনিধিরা রয়েছেন। তরুণদের দল রয়েছে। তারা এমনটি দেখেও কীভাবে এটিকে সমর্থন করেছেন, সেটা নিয়ে আমার প্রশ্ন রয়েছে। আমি মনে করি, ঘোষণাপত্রের ব্যাপারে সবার সুস্পষ্ট অবস্থান আজকেই দেওয়া প্রয়োজন।’
তিনি আরো বলেন, ‘যদি এমন হতো যে ঘোষণাপত্রে সব গোষ্ঠীকেই বাদ দেওয়া হয়েছে, তাহলে বুঝতাম যেকোনো গোষ্ঠীকেই টার্গেট করা হয়নি। কিন্তু এখানে কয়েকটি গোষ্ঠীকে নেওয়া হয়েছে।আবার কোনো কোনোটিকে বাদ দেওয়া হয়েছে। এ কারণেই বলছি, নারীকে এখানে সচেতনভাবে বাদ দেওয়া হয়েছে। এ রকম একটি জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে বৈষম্যবিহীন বাংলাদেশের স্বপ্ন আমরা দেখতে পারি না।’
নারীর মূল ক্ষমতায়নের জায়গাটি রাজনৈতিক দলগুলোর ভেতর থেকে হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেন খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম।
গোলটেবিল বৈঠকে আরও অংশ নিয়েছেন নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রধান শিরীন পারভীন হক, নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার, গণসাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধূরী, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি ফওজিয়া মোসলেম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সামিনা লুৎফা, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম, সিপিডির গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম, নিজেরা করির সমন্বয়কারী খুশী কবির, একশনএইড বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ফারাহ কবির, নারীপক্ষের সভানেত্রী গীতা দাস, গার্মেন্টস শ্রমিক সংহতির সভাপ্রধান তাসলিমা আখতার, স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনের সদস্য ইলিরা দেওয়ান, জুলাই আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক ও শিক্ষার্থী নাজিফা জান্নাত।
বিডি প্রতিদিন/আশিক