শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শুক্রবার, ২৮ মার্চ, ২০২৫

গল্প

দুজনের সম্পর্ক যা

নাসরীন জাহান
প্রিন্ট ভার্সন
দুজনের সম্পর্ক যা

আকাশে রোদ উঠছিল কুয়াশার মতো দেখতে। অদ্ভুত এক ছায়া চারপাশে ডানা মেলছিল। রিনু বারান্দায় বসে চুল মেলে দিয়েছে রোদে। এই সকালে রোদের সঙ্গে মিশে যাওয়ার ভঙ্গিটা চমৎকার লাগে বলেই নাশতা খেয়ে না খেয়ে ছুটে আসে সেতু। বারান্দার এককোণে মোড়া নিয়ে চুপচাপ গল্প করার ছলে রিনুকে দেখে। রিনু রোদের ঠোঁটে চুলকে ছুঁইয়ে দিতে দিতে নাক কুঁচকে বলল, তুই রোজ এভাবে...

আমাকে তুই তুই করবে না। সেতু বলল, আমাদের সম্পর্কটা সেসবের ঊর্ধ্বে চলে গেছে।

রিনু বিষণœ হলো। তারপর রোদ থেকে একটু সরে এসে সেতুর মুখোমুখি বসল, কেমন আছ?

হেসে ফেলে সেতু, সম্বোধনটা শোনানোর জন্যই এই প্রশ্ন, না সত্যি সত্যি জানতে চাইছ?

সত্যি সত্যি, রিনু অনেক দূর থেকে বলল, আসলে তুমি কখন কেমন থাকো ইদানীং খুব জানতে ইচ্ছে হয়

আমার।

সেতু সহজ হয়ে বলল, তাই?

তাই না, রিনুও সহজ হয়, এমনিই বলার জন্য বললাম। সেতু রিনুর দিকে তীব্র চোখে দেখল। তারপর বলল, আমিও বলার জন্য একটা কথা বলি?

রোদটা তেতে উঠছে। রিনু মোড়া সরিয়ে বারান্দার ভেতরের দিকে চলে এলো। এতে সেতুর সঙ্গে তার বাহ্যিক দূরত্বটা কমে গেল। সে ইচ্ছে করলেই হাত সোজা না করেই সেতুকে ছুঁয়ে দিতে পারে। ইচ্ছেটা হলোও একবার। কিন্তু নিজেকে এক মুহূর্তের জন্য সামলে নিয়ে বলল, তোমার কোনো কথাই আপাতত ভালো লাগছে না আমার।

সেতু অপমানিত হলো। ওর নাক-মুখ লাল হওয়া দেখে রিনুর তা-ই মনে হলো। রিনুর ইচ্ছে হলো কথাটা ফিরিয়ে নেওয়ার। কিন্তু এক ধরনের আলস্য ওকে গ্রাস করল।

তাই সে চুপচাপ উঠোনের দিকে চেয়ে রইল। সেখানে কয়েকটা কাক একটা কিছু নিয়ে ব্যস্ত হয়ে উঠছে। রিনু রোদের সঙ্গে নিজেকে মিশিয়ে একটা স্বপ্ন সৃষ্টি করতে চাইছিল, তখনই সেতুর গলা তাকে সচকিত করল, তুমি না শুনতে চাইলেও কথাটা আমাকে বলতেই হচ্ছে। আমি তোমার প্রতি আকর্ষণ ফিল করছি।

রিনু মিশ্র অনুভূতির ভেতর পড়ে গেল। ওর বুকের ভেতর দ্রুত শব্দ হতে থাকে। ঘোরের ভেতর থেকে সে বলল, সত্যি বলছ?

ততক্ষণে সেতু বারান্দার সিঁড়িতে গিয়ে দাঁড়িয়েছে, তারপর একটু জোরেই বলল, এটাও আমার একটা কথার কথা, সেটা ভুলে যেও না।

রিনু ভাবল সেতুকে ডেকে বসায়। কিন্তু আলস্য কিংবা মিশ্র অনুভূতির ধাক্কায়ই হোক, সেতুকে ডাকা হলো না। সে দেখল সেতুর ছায়াটা উঠোন থেকে মিলিয়ে যাচ্ছে। ওর মনে হলো সেতুর সঙ্গে কিছু জরুরি কথা আছে। তবুও সেতুকে ডাকা হলো না। উঠোন থেকে সেতু হাওয়া হয়ে গেল।

বিছানায় চুপচাপ শুয়েছিল রিনু। জানালা দিয়ে বাতাস সোজা ঘরে ঢুকছে। বইয়ে অসংলগ্ন চোখ রেখে অন্য কোথাও চলে যাচ্ছিল সে। রাতে খুব সম্ভবত কোনো নাজুক স্বপ্ন দেখেছে সে। অর্ধেক দৃষ্টি বইয়ে এবং বাকি অর্ধেকটাকে স্বপ্নের ভেতর ডুবিয়ে একটা মিশ্র অনুভূতির ভেতর পড়ে গেছে সে। স্বপ্নটা আবছাভাবে স্মৃতির শরীরে দাগ কাটছে আবার মিলিয়ে যাচ্ছে। রিনু বই রেখে স্বপ্নকে নিয়েই ব্যস্ত হয়ে উঠল।

পাহাড়ের কাছাকাছি কোথাও সবুজ কী লাল রোদ উঠেছিল। সেই পাহাড়ের শরীর বেয়ে একটা মানুষ কি দেবতা রিনুকে টেনে টেনে পাহাড়ে উঠাচ্ছিল। পাহাড়টাকে যত সুন্দর দেখাচ্ছিল তার শরীরে ততবেশি ক্ষতের চিহ্ন ছিল। তাই হোঁচট খেতে খেতে রিনুর মতে, খুব সম্ভবত সারা রাতই লেগে গিয়েছিল পাহাড়ের চূড়ায় উঠতে। যা হোক ভোরের স্বপ্নে রিনুকে অনেক কষ্টে পাহাড়ের চূড়ায় উঠাল মানুষটা। তারপর রিনুর চোখের দিকে কয়েক মুহূর্তের জন্য তাকাল এবং এক ধাক্কায় সেই উঁচু পাহাড় থেকে নিচে ফেলে দিল।

স্বপ্নের মতোই স্বপ্ন বটে। রিনু অবাক হলো, এটা তার সারা দিন মনে হয়নি। সারা দিন তো তার কোনো ব্যস্ততায়ও কাটেনি। হাজব্যান্ড বিদেশে আছে, খরচ পাঠাচ্ছে-বাবার বাড়িতে ওর রাজকীয় ভঙ্গিতেই দিন কাটছে। এতে এমন একটা জটিল সুন্দর স্বপ্নের কথা ওর মনে আসেনি কেন? মা ওয়্যারড্রোবে কাপড় গুছিয়ে রাখছেন। রিনু মাকে দেখছে এবং তারপর মার ভেতর স্বপ্নের মানুষটার চেহারা মনে করতে চাইল। কিছুতেই মনে হচ্ছে না। রিনু মরিয়া হয়ে উঠল। তখনই সেতু এল। রিনু তার স্বপ্নে ফেরা অসম্ভব জটিল মানুষটাকে মনে করতে পারল।

মা বললেন, তোমার পরীক্ষা কবে?

একটু অপ্রস্তুত হয়ে হাসল সেতু। আগামী মাসে।

প্রিপারেশন কেমন? মা কাপড় গুছিয়ে রান্নাঘরের দিকে চললেন, যেন বলার জন্যই বলা। এর উত্তর দেওয়ার আর প্রয়োজন হলো না। মা রান্নাঘরে পা রেখেছেন। বুকের ভেতর অস্থিরতা টের পেল রিনু। ও অসুস্থ হয়ে পড়ছে। জ্যাকেটটাকে ঘাড়ে ঝুলিয়ে ঘরে আলো জ্বালালো সেতু। তারপর বিছানায় রিনুর কাছাকাছি বসল।

আমি একটা স্বপ্ন দেখেছি জানো... রিমু বলতে চাইল। সেতু চুপচাপ চেয়ে রইল রিনুর দিকে। রিনু থেমে গেল। না এমনিই। এসবের সঙ্গে পরিচিত সেতু। সে উঠে দাঁড়াল। তারপর টেবিলের ওপর রাখা ক্যাসেট নিয়ে নাড়াচাড়া করল কিছুক্ষণ। প্লেতে চাপ দিল। বন্যা জেগে উঠল। দেয়ালে ঠেস দিয়ে বিছানায় কাঁচুমাচু হয়ে বসে থাকে রিনু।

আসলে তোমাকে আমি প্রচ- একটা ধাক্কা দিতে চাইছি-রিনুর প্রশ্নবোধক চোখের সামনে বলতে থাকে সেতু, তার কারণ... সেতু জানালা দিয়ে সন্ধ্যার চলে যাওয়া দেখে। তারপর হেসে ফেলে, না কোনো কারণ নেই, এমনিই বললাম।

রিনুর একটা কিছু মনে হওয়ায় তোশকের নিচে থেকে একটা ইনভেলাপ বের করে সেতুর দিকে বাড়িয়ে দিল। সেতু একপলক ইনভেলাপের ওপর চোখ বুলিয়ে বলল, তোমাদের ব্যক্তিগত চিঠি আমাকে দেখাচ্ছ কেন।

ফেব্রুয়ারিতে আমার টিকিট আসছে।

রিনু উচ্ছল হলো, এটা খুব ভদ্র চিঠি তুমি পড়তে পারো ইচ্ছে করলে।

সেতুর মুখের দিকে তাকালে ওর প্রতিক্রিয়া কম বোঝা যায়। রিনু সেতুকে পড়াতে চাইল। সেতু চিঠিটা বিছানায় রেখে রিনুর দিকে সরাসরি তাকাল-আমার প্রতি তোমার কোনো ফিলিংস আছে?

রিনু হাসতে থাকল। অসম্ভব রেগে গেল সেতু-তুমি অসভ্যের মতো হাসবে না। আমার ভালো লাগছে না।

রিনু স্থির হলো। সেতু নিজেকে সামলে নিল, আই অ্যাম সরি! রিনু বিষণœ চোখে সেতুকে দেখল, অনেক দূর থেকে। তারপর বলল জানি না।

সেতু অস্থির হলো। রিনু পা গুটিয়ে চুপচাপ বসে রইল বিছানায়। তারপর সেতুর অস্থিরতায় চোখ রেখে ক্লান্ত কণ্ঠে বলল, তুমি আর এসো না। আর না।

পালাতে চাইছ? সেতুর চাউনি তেমনই তীব্র। রিনুর বুকের ভেতর শব্দটা ধাক্কা লাগল। রিনু অস্থিরভাবে বলল-তাই চাচ্ছি। কেননা আর পথ নেই।

সেতু স্থির হলো। তারপর রিনুর কাছাকাছি বিছানায় বসে বলল, তোমাকে ছুঁয়ে দিই?

রিনুর ঠোঁট কেঁপে ওঠে। তারপর প্রাণপণে নিজেকে সামলাতে গিয়েও হোঁচট খায়-না, মরে যাব।

লেকের জলে চোখ রেখে উদাস হয়ে যায় রিনু। সেতু রিনুর হাতে আঙুলের ডগা ছোঁয়ায়। রিনু স্পষ্টভাবে একটু কেঁপে ওঠে। রিনু লেকের জল দেখে। সেতু রিনুর উড়ো চুলে চোখ রাখে। তারপর চিবুকের গর্তে। সেতু চারপাশের মানুষজন থেকে অনেক দূর থেকে বলে, যমুনা, হাত ধরো, স্বর্গে যাব। রিনু ঠায় লেকের জলই দেখে। সেতু রিনুর হাতটা নিজের হাতে নিয়ে আলতো চাপ দেয়। রিনুর বুকে আনন্দ শংকরের মিউজিক বাজে। রিনু সেতুর চোখে চোখ রেখে বলে, আর কত কষ্ট দেবে? আর কত? সেতু হাসল। ওর হাসির ম্লান ভঙ্গিটা আবারও কাঁপাল রিনুকে। সেতু খুব স্বাভাবিক কণ্ঠে বলল, ফুঁ দিয়ে উড়িয়ে দাও সবকিছু...। সেতুর চোখ জ্বলে। হাসল রিনুও। তারপর সেতুর দিকে সরাসরি তাকাল-যে ভালোবাসায় একবিন্দু সুখ নেই কষ্ট ছাড়া, তাকে ফুঁ দিয়ে উড়িয়ে দেওয়াই উচিত। হাত বাড়াও সেতু। আমি ফুঁ দেব আঙুলে। তোমার সমস্ত সত্তায়ও।

সেতু হাত বাড়াল। ফুঁ দিতে গিয়ে সেতুর চোখে চোখ রাখল রিনু। স্থির হয়ে গেল ওর সমস্ত অস্তিত্ব। তারপর হাত দিয়ে মুখ ঢাকল। রিনুকে ছুঁয়ে দিল সেতু। রিনুর চুলের গভীরে মুখ রাখল। রিনুর ঠোঁটে আঙুল ছুঁইয়ে রিনুর অনেক কাছাকাছি চলে গেল সে। রিনু ভাসতে ভাসতে শেষে মাটিতে এসে নামল। তারপর সেতুর দিকে তাকাল, তীব্র শীতেও ঘামছে যেন। সে রিনুর কাছ থেকে একটু দূরত্ব রেখে বসল। রিনু হাঁটুতে মুখ গুঁজে আছে। ওর বুকের ভেতর সমুদ্রের শব্দ। রিনুর চোখ জ্বলছে। একসময় তা ভিজে আসে। সেতু অস্থির হয়। সে দাঁড়ায়। তারপর রিনুর পাশের চেয়ারে গিয়ে বসে তীব্র কণ্ঠে বলে, আমি তোমাকে ভালোবাসি রিনু।

আমি তোমার চেয়ে বয়সে বড় সেতু। রিনু সেতুর দিকে তাকাল। সেতু ঘাড় নাড়ল-ওটা পুরোনো কথা।

আমার হাজব্যান্ড কদিন পর বিলেত থেকে ফিরছে-রিনু দাঁত দিয়ে ঠোঁট চেপে ধরল।

সেতু বলল, আমি জানি।

রিনু উত্তেজিতভাবে সেতুর হাত চেপে ধরল, এত জানো তুমি এরপরও এদ্দূর এলে কেন?

আমি একা আসিনি-সেতু বিষণœ কণ্ঠে বলল।

রিনু নিজেকে সামলে নিল দ্রুত। তারপর সেতুর হাতে নিজের ঠোঁট ছুঁইয়ে বলল, আসলে সব দোষ আমার নিঃসঙ্গতার। কখনো আমরা আমাদের মধ্যকার উঁচু দেয়ালগুলো ডিঙাতে পারব না। আত্মদহন আর কাকে বলে। রিনু হাসতে থাকে।

মা বাসায় নেই। ছোট বোনটা বাইরে খেলছে। বড় ভাই কোথাও আড্ডা দিচ্ছে। নির্জন বাড়িতে সেতুর উপস্থিতি রিনুকে একটা কষ্টকর অনুভূতিতে ফেলল। এই কষ্টটা নিতে যেমন কষ্ট হচ্ছে তেমন ভালোও লাগছে। রিনু ঠিক বুঝতে পারছে না এর পক্ষে না বিপক্ষে যাবে। বয়স এবং সামাজিক বাধার প্রাচীর ডিঙিয়ে কী করে সেতু ওর এত কাছে এল? ওর নিজের ভেতরই কি প্রশ্রয় ছিল না? শূন্যতাও ছিল কি? রিনু ওর হাজব্যান্ডের চেহারাটা বুকের কাছে নিয়ে এল। কিছু বুঝতে না পেরে সে সেতুর দিকে তাকাল। সেতুর দৃষ্টি বাইরে। রিনু বলল, কাল তুমি ভার্সিটিতে যাবে না?

সেতু রিনুর দিকে পলকহীন তাকাল, তারপর বলল, যাব।

ক্লাস ঠিকমতো করো তো? অনার্সে এসে আমার মতো লাড্ডু মারবে না তো? সহজ হয়ে বসল রিনু।

সেতু দাঁড়াল। তারপর দরজার কাছে গিয়ে বলল, দেশের বাইরে চলে যাব এবং কোনোদিনই ফিরব না, লাড্ডু মারলেই কী?

শোনো, রিনু তাকালো সেতুর দিকে, এভাবে কথা বলবে না কখনো, এসে বসো।

সেতু বলল, কী বলবে বলো, দাঁড়ালেও আমার কান খোলা থাকে।

গোঁয়ার্তুমি ছাড়ো, রিনু স্থির কণ্ঠে বলল, ছবি আঁকাও ছেড়ে দিয়েছ মনে হয়? প্রেমে পড়ে এমনভাবে মরে

যাওয়া তোমাকে মানায় না।

সেতু হাসে। হাসতেই থাকে, ভালোই জানো দেখছি। মরে যাচ্ছি। নিজের সম্পর্কে শিওর হও, আমার ব্যাপারে তোমার অতটা ধারণা না থাকাই ভালো। আর আমি আবার ছবি আঁকা ধরব কোন শর্তে সেটা নিশ্চয়ই নতুন করে বলতে হবে না তোমাকে। কেঁপে ওঠে রিনু। সেতু এসে বসেছে। রিনু ঠোঁট কামড়ে ধরে বলল, তুমি বললেই আমি নির্লজ্জের মতো আমার পুরো শরীর তোমাকে দেখাব-তুমি এতটা আশা করো কী করে?

নির্লজ্জের মতো? সেতু তীব্র কণ্ঠে বলল, তুমি আমাকে চিনতে ভুল করেছ রিনু। শরীরটা আমার কাছে শুধুই শিল্প। এটাতে লজ্জা, নির্লজ্জতার প্রশ্নই আসে না। তুমি আমাকে অতটা ভুল বুঝবে জানলে... আমি যাচ্ছি।

রিনু ক্লান্ত কণ্ঠে বলল, তোমার আকুলতা হিমালয় হোক সেতু।

রিনুর টিকিট আসার দিন ঘনিয়ে আসছে। তার ভেতরটা ক্রমশ তীব্র অস্থিরতায় ভরে যায়। রিনুর প্রথম প্রেম সেতু। বিয়ের আগেও এমন একটা বন্দিত্বের ভেতর জীবন কাটিয়েছে যেখানে ইচ্ছে থাকলেও কাউকে ভালোবাসার কথা ভাবতে পারেনি সে। ভাইজান স্কুল থেকে শুরু করে কলেজজীবনেও ওকে রোজ কলেজে পৌঁছে দিত, নিয়ে আসত। বন্ধুদের সঙ্গে কখনোই কোনো সিনেমা বা অনুষ্ঠানে একাকী যাওয়ার স্বাধীনতা পায়নি সে। বিয়ের পর হাজব্যান্ডকে ভালো করে চেনা-জানার আগেই সে বাইরে চলে যায় এবং তার সঙ্গে একটা হাওয়াই সম্পর্ক চলাকালীনই সেতু এদের পাড়ায় ভাড়াটে হয়ে এসে ওর বুকের ভেতরটা তছনছ করে দিল। রিনু বাথরুমে যায়। বাথরুমের আয়নায় নিজেকে দেখে ওর বুক ঠেলে একটা কান্না বেরিয়ে আসতে চায়। চোখ জ্বালা করে। চোখে পানি দেওয়ার সময়ই ওর বুকের ভেতরটা কেঁপে উঠল। সেতু এসেছে। ও এলেই রিনুর ভেতরে একটা কবুতর লাফায়। রিনু দেখল ভাইজানের সঙ্গে গল্প করছে সেতু। ভাইজান রিনুর দিকে চেয়ে বলল, ইস তুই চলে গেলে খুব খারাপ লাগবে।

সেতু কিছুই না বলে একটা বই উল্টাতে থাকে। রিনু পাশের রুমে যায়। মা কাপড় সেলাই করছেন। রিনু রান্নাঘরে যায়। কাজের বেটি মসলা বাটছে। রিনু বারান্দায় আসে। ছোট বোনটা কুতকুত খেলার দাগ কাটছে বারান্দায়। রিনু মাকে ডিঙিয়ে আবার ড্রয়িংরুমে যায়। ভাইজান বেরিয়ে গেছে। সেতুর চোখ বইয়ে। রিনু ক্যাসেটের প্লেতে চাপ দিল, নুসরাত ফতেহ আলী জেগে উঠল। সেতু রিনুর চোখে চোখ রাখল, আজ আমার বাসায় কেউ নেই, তুমি এসো। আকুলতা হিমালয়... বলতে চাইল রিনু। হিমালয় ছাড়িয়ে সেটা আকাশ ছুঁয়েছে রিনু, প্রায় চিৎকারের ভঙ্গিতে বলল সেতু। আমি তোমাকে আবিষ্কার করব। বিশ্বাস করো আমার দৃষ্টিতে একবিন্দু কাম থাকবে না। রিনু ঠান্ডা চোখে সেতুকে বলল, চলো।

সেতু কাঁপছে। চোখ বুজে শুয়ে আছে রিনু। ওর পা থেকে মাথা পর্যন্ত উদোম শরীরে সেতুর দৃষ্টি ছুঁয়ে ছুঁয়ে যায়। রিনুর ঠোঁট কাঁপছে। সেতু ঘনঘন শ্বাস নিচ্ছে। তারপর সে নতজানু হয়ে বলল, তুমি আমার ভাগ্যের ওপর দাঁড়িয়ে আছ ঈশ্বরের মতো। তুমি এত সুন্দর রিনু। রিনু যেন জমে আছে। সেতুর কোনো কথাই তার মনে গেল না। সেতু চোখ বুজে প্রচ- শক্তিতে নিজেকে ফেরাল, তারপর পাশের রুমে চলে গেল।

রিনু স্বাভাবিক হয়ে ফিরে এল সেতুর কাছে। তারপর মুখ ঢেকে কাঁদতে লাগল। সেতু রিনুর হাত ছুঁয়ে বলল, পৃথিবীতে এত সুন্দর শিল্প থাকতে আমি শুধু শুধুই বনে বনে ঘুরি শিল্পের সন্ধানে। রিনু তুমি আসলেই... তুমি...।

ক্লান্ত অবসন্ন দেহে সেতু বারান্দায় পা রাখল। রিনু ড্রয়িংরুমে বসে দেখল সেতুর হাতে বড় একটা ক্যানভাস। সেতু আলতো পায়ে এগিয়ে এল ড্রয়িংরুমের দিকে। রিনু স্থির কণ্ঠে বলল, আমি কালই যাচ্ছি।

আমি জানি, সেতু বলল। রিনু সেতুর দিকে তাকিয়ে থাকে। সেতু সোফায় বসতে বসতে বলল, তোমার চোখ খুব সুন্দর। রিনু স্থির বসে থাকে। ক্যানভাসটা রিনুর সামনে মেলে ধরে সেতু। একটা ঘন সবুজ বন এবং সেই সবুজের ভেতর একটা সাদা উদোম শরীর মিশে আছে। মেয়েটার হাত চাঁদের শরীর ছুঁতে চাইছে। চোখ বুজল রিনু।

আমার হাজব্যান্ডকে নতুন করে জানব আমি রিনু ঠোঁট কামড়ে বলল, ওর বুকের প্রতিটি শব্দ নিয়ে ওকে ভালোবাসতে চেষ্টা করব।

সেতু তুমি...।

সেতু ক্যানভাসটা রিনুর হাতে দিল। তারপর ক্লান্ত কণ্ঠে বলল, তাই করো। আজ থেকে আমি তোমার অস্তিত্বের বাইরে চলে যাব। তোমাকে আর ছুঁতেও আসব না কোনোকালে।

তুমি এয়ারপোর্টে যাবে না? রিনুর আকুল কণ্ঠ।

ওই সৌজন্যতার ভয়েই তো পালাচ্ছি। তুমি যা দিয়েছ তার ভার নিয়ে আজই আমাকে যেতে দাও। রিনু বলল, তবে সমস্ত স্মৃতির মুখে ফুঁ দেই? তুমিও ফুঁ দিয়ে ভাসিয়ে দাও সব সম্পর্কের অস্তিত্ব। রিনুর দিকে তীব্র চোখে তাকাল সেতু, তারপর বলল, এত সহজেই ভাসিয়ে দেওয়া যায় মনে করো, তবে আগে তুমিই ফুঁ দাও।

রিনু চোখ বুজে সেতুর হাত টেনে নিল ঠোঁটে। চোখ ভিজে এল। সে ঠোঁট দুটো জড়ো করল-ফুঁ। সেতু রিনুর ঠোঁটের বাতাস হাতে পেয়ে সচেতন হলো। সে বিস্ময়ভরা চোখে রিনুর দিকে তাকাল। রিনু সেতুর হাত চেপে ধরল। তুমি ফুঁ দিলে না? সেতু হাত ছাড়িয়ে দরজায় গিয়ে দাঁড়াল। রিনু প্রায় চিৎকার করে উঠল। সেতু আমি হেরে গেছি সেতু, প্লিজ...।

সেতু বারান্দার বাইরে পা রাখল। রিনু দাঁড়াতে চাইল। কিন্তু অনুভব করল ওর শরীর জমে আসছে। রিনু সেতুর ক্যানভাসে চোখ রাখল, একটা সবুজ বন, উদোম নারীর এবং একটা হাত যে চাঁদের শরীর ছুঁতে চাচ্ছে। রিনু পরাজয় অথবা স্থির অনুভূতির কষ্টে হু হু কান্নায় ভেঙে পড়ল। ততক্ষণে সেতুর নীল জ্যাকেটের ছায়া উঠোনের বাঁকে মিলিয়ে গেছে।

♦ লেখা পাঠানোর ইমেইল ঠিকানা 

[email protected]

 

এই বিভাগের আরও খবর
ধোঁয়াশায় আছি কুয়াশায় আছি
ধোঁয়াশায় আছি কুয়াশায় আছি
মূর্খতার পুরুষবাদী মিথ
মূর্খতার পুরুষবাদী মিথ
আলোকের ঝরনাধারায় ধুইয়ে দাও
আলোকের ঝরনাধারায় ধুইয়ে দাও
আমার গোপন নিষিদ্ধ প্রেমিকারা
আমার গোপন নিষিদ্ধ প্রেমিকারা
মা
মা
রবীন্দ্রনাথ ও বাঙালি সমাজ
রবীন্দ্রনাথ ও বাঙালি সমাজ
সাহিত্য পাতায় লেখা পাঠানোর ঠিকানা
সাহিত্য পাতায় লেখা পাঠানোর ঠিকানা
নতজানু পায়রা
নতজানু পায়রা
যদি আবার
যদি আবার
পাঁজরের আধখানা হাড়
পাঁজরের আধখানা হাড়
মেঘমালা
মেঘমালা
দুঃখের সন্ধ্যা, নীরব রাত
দুঃখের সন্ধ্যা, নীরব রাত
সর্বশেষ খবর
কোরবানির বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় প্রস্তুতি নিতে মাঠে ডিএনসিসি প্রশাসক
কোরবানির বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় প্রস্তুতি নিতে মাঠে ডিএনসিসি প্রশাসক

১ সেকেন্ড আগে | নগর জীবন

হত্যা মামলায় স্বামী-স্ত্রী গ্রেফতার
হত্যা মামলায় স্বামী-স্ত্রী গ্রেফতার

১ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

নিষিদ্ধ সন্ত্রাসী সংগঠন আওয়ামী লীগের ৩ নেতা কারাগারে
নিষিদ্ধ সন্ত্রাসী সংগঠন আওয়ামী লীগের ৩ নেতা কারাগারে

৪ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

সড়ক নেই, সেতু আছে
সড়ক নেই, সেতু আছে

৫ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

নারী নির্যাতন মামলায় পুলিশ সদস্যের ২ বছরের কারাদণ্ড
নারী নির্যাতন মামলায় পুলিশ সদস্যের ২ বছরের কারাদণ্ড

১০ মিনিট আগে | জাতীয়

মুকসুদপুরে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের কর্মী সম্মেলন
মুকসুদপুরে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের কর্মী সম্মেলন

১৮ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

গোবিপ্রবিতে আন্তঃবিভাগ ভলিবলে লোক প্রশাসন বিভাগ চ্যাম্পিয়ন
গোবিপ্রবিতে আন্তঃবিভাগ ভলিবলে লোক প্রশাসন বিভাগ চ্যাম্পিয়ন

২২ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

প্রতিপক্ষের হামলায় যুবক নিহত
প্রতিপক্ষের হামলায় যুবক নিহত

২৯ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

মেঘনায় মরে ভেসে উঠছে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ
মেঘনায় মরে ভেসে উঠছে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ

৩০ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

বিদ্যুৎস্পৃষ্টে নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু
বিদ্যুৎস্পৃষ্টে নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু

৪১ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

বসুন্ধরা শুভসংঘের উদ্যোগে চাঁদপুরে ইভটিজিং বিরোধী সচেতনতা
বসুন্ধরা শুভসংঘের উদ্যোগে চাঁদপুরে ইভটিজিং বিরোধী সচেতনতা

৪৩ মিনিট আগে | বসুন্ধরা শুভসংঘ

হবিগঞ্জে ৩ কোটি টাকার ভারতীয় পণ্য জব্দ
হবিগঞ্জে ৩ কোটি টাকার ভারতীয় পণ্য জব্দ

৪৪ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে চুরি হওয়া ১৩ ল্যাপটপসহ চক্রের ৪ সদস্য আটক
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে চুরি হওয়া ১৩ ল্যাপটপসহ চক্রের ৪ সদস্য আটক

৪৪ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

দুই মামলায় চিন্ময়কে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ
দুই মামলায় চিন্ময়কে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ

৪৬ মিনিট আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

শাহবাগ ছাড়ল ছাত্রদল, যান চলাচল স্বাভাবিক
শাহবাগ ছাড়ল ছাত্রদল, যান চলাচল স্বাভাবিক

৪৬ মিনিট আগে | নগর জীবন

চবিতে ‘রোড টু সাকসেস ২০২৫’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত
চবিতে ‘রোড টু সাকসেস ২০২৫’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত

৫৩ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

১৭ দিনে রেমিট্যান্স এলো ১৬১ কোটি ডলার
১৭ দিনে রেমিট্যান্স এলো ১৬১ কোটি ডলার

৫৯ মিনিট আগে | জাতীয়

বিয়ের দাবিতে প্রবাসীর বাড়িতে তরুণীর অনশন
বিয়ের দাবিতে প্রবাসীর বাড়িতে তরুণীর অনশন

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

জামালপুরে রেড ক্রিসেন্টের এডহক কমিটির দায়িত্ব গ্রহণ
জামালপুরে রেড ক্রিসেন্টের এডহক কমিটির দায়িত্ব গ্রহণ

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

গাজা যুদ্ধ বন্ধে রাজি নেতানিয়াহু, দিয়েছেন যেসব শর্ত
গাজা যুদ্ধ বন্ধে রাজি নেতানিয়াহু, দিয়েছেন যেসব শর্ত

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

খুলনায় প্রথমবারের মতো রাজনৈতিক কর্মসূচিতে প্রকাশ্যে জামায়াতের নারী নেতাকর্মীরা
খুলনায় প্রথমবারের মতো রাজনৈতিক কর্মসূচিতে প্রকাশ্যে জামায়াতের নারী নেতাকর্মীরা

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

মাদক কারবারীদের হামলায় দুই বিজিবি সদস্য আহত
মাদক কারবারীদের হামলায় দুই বিজিবি সদস্য আহত

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

জমি নিয়ে বিরোধে প্রাণ গেল বৃদ্ধার
জমি নিয়ে বিরোধে প্রাণ গেল বৃদ্ধার

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

চাঁদপুরে ড্রেনের গ্যাস বিস্ফোরণে মা-ছেলেসহ আহত ৩
চাঁদপুরে ড্রেনের গ্যাস বিস্ফোরণে মা-ছেলেসহ আহত ৩

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বিএমইউতে ক্যানসার চিকিৎসার কার্যক্রম ফের চালু
বিএমইউতে ক্যানসার চিকিৎসার কার্যক্রম ফের চালু

১ ঘণ্টা আগে | হেলথ কর্নার

পুঁজিবাজারে সূচক কমলেও বেড়েছে লেনদেন
পুঁজিবাজারে সূচক কমলেও বেড়েছে লেনদেন

১ ঘণ্টা আগে | বাণিজ্য

কলেজে অতিরিক্ত ফি নেওয়ার প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
কলেজে অতিরিক্ত ফি নেওয়ার প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

কলাপাড়ায় হঠাৎ বৃষ্টিতে স্বস্তি
কলাপাড়ায় হঠাৎ বৃষ্টিতে স্বস্তি

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মাদারীপুরে ট্রলারডুবিতে নিখোঁজ যুবকের লাশ উদ্ধার
মাদারীপুরে ট্রলারডুবিতে নিখোঁজ যুবকের লাশ উদ্ধার

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ধর্ষণ মামলার আসামি গ্রেফতার
ধর্ষণ মামলার আসামি গ্রেফতার

১ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

সর্বাধিক পঠিত
বাংলাদেশ এড়িয়ে সেভেন সিস্টার্সকে যুক্ত করতে নতুন প্রকল্প হাতে নিল ভারত
বাংলাদেশ এড়িয়ে সেভেন সিস্টার্সকে যুক্ত করতে নতুন প্রকল্প হাতে নিল ভারত

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যুক্তরাষ্ট্রে ৩ মাস জেল খেটে ফিরেই বিমানবন্দরে আটক যুবলীগ নেতা
যুক্তরাষ্ট্রে ৩ মাস জেল খেটে ফিরেই বিমানবন্দরে আটক যুবলীগ নেতা

২২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ভারতের স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশি পোশাকসহ বিভিন্ন পণ্য প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা
ভারতের স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশি পোশাকসহ বিভিন্ন পণ্য প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা

১৮ ঘণ্টা আগে | বাণিজ্য

পাকিস্তানে হামলা নিয়ে বিভক্ত ভারতের রাজনীতি
পাকিস্তানে হামলা নিয়ে বিভক্ত ভারতের রাজনীতি

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দিল্লি থেকে ৪০ রোহিঙ্গাকে ধরে নিয়ে সাগরে ফেলে দিলো ভারত
দিল্লি থেকে ৪০ রোহিঙ্গাকে ধরে নিয়ে সাগরে ফেলে দিলো ভারত

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘ভারতের বড় বড় যুদ্ধবিমান ঘুড়ির মতো ভেঙেছে পাকিস্তান’
‘ভারতের বড় বড় যুদ্ধবিমান ঘুড়ির মতো ভেঙেছে পাকিস্তান’

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পাকিস্তানের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ, ভারতীয় ইউটিউবার গ্রেফতার
পাকিস্তানের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ, ভারতীয় ইউটিউবার গ্রেফতার

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিমানবন্দর থেকে আটক নুসরাত ফারিয়া
বিমানবন্দর থেকে আটক নুসরাত ফারিয়া

৪ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

‘বিরল’ সেই ছাগল ২৩ লাখে বিক্রি
‘বিরল’ সেই ছাগল ২৩ লাখে বিক্রি

৯ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

শপথ ইস্যুতে যা বললেন ইশরাক
শপথ ইস্যুতে যা বললেন ইশরাক

২৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের প্রেসিডেন্ট পদে লড়বে বাংলাদেশ
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের প্রেসিডেন্ট পদে লড়বে বাংলাদেশ

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কোরবানির হাট কাঁপাবে ৪০ মণ ওজনের সম্রাট
কোরবানির হাট কাঁপাবে ৪০ মণ ওজনের সম্রাট

১৮ ঘণ্টা আগে | হাটের খবর

ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা : বেজে উঠল সাইরেন, প্রধান বিমানবন্দর বন্ধ
ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা : বেজে উঠল সাইরেন, প্রধান বিমানবন্দর বন্ধ

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হচ্ছে নুসরাত ফারিয়াকে
ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হচ্ছে নুসরাত ফারিয়াকে

৩ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

ভোক্তা ও ব্যবসায়ীদের স্বার্থে ভারত-বাংলাদেশের ব্যবসা চলমান থাকবে : বাণিজ্য উপদেষ্টা
ভোক্তা ও ব্যবসায়ীদের স্বার্থে ভারত-বাংলাদেশের ব্যবসা চলমান থাকবে : বাণিজ্য উপদেষ্টা

৪ ঘণ্টা আগে | বাণিজ্য

৩ হাজারের বেশি কবর খোঁড়া শয্যাশায়ী মনু মিয়ার প্রিয় ঘোড়াটি মেরে ফেলল দুর্বৃত্তরা
৩ হাজারের বেশি কবর খোঁড়া শয্যাশায়ী মনু মিয়ার প্রিয় ঘোড়াটি মেরে ফেলল দুর্বৃত্তরা

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ভারতের মহাকাশ অভিযান ব্যর্থ, মাঝপথে বাতিল মিশন-রকেট ধ্বংস
ভারতের মহাকাশ অভিযান ব্যর্থ, মাঝপথে বাতিল মিশন-রকেট ধ্বংস

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘বাংলাদেশি নাগরিক হিসেবে সব অধিকার ভোগ করার জন্য প্রস্তুত রয়েছি’
‘বাংলাদেশি নাগরিক হিসেবে সব অধিকার ভোগ করার জন্য প্রস্তুত রয়েছি’

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গাজার ভিডিও নিজেদের হামলা বলে প্রচার! ভুয়া খবরে সয়লাব ভারতের মিডিয়া
গাজার ভিডিও নিজেদের হামলা বলে প্রচার! ভুয়া খবরে সয়লাব ভারতের মিডিয়া

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল ক্যালিফোর্নিয়ার শহর
বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল ক্যালিফোর্নিয়ার শহর

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

হজযাত্রীদের সুরক্ষায় নতুন উদ্যোগ সৌদি আরবের
হজযাত্রীদের সুরক্ষায় নতুন উদ্যোগ সৌদি আরবের

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাক্ষুসে ব্যাংক পরিচালকরা অধরা
রাক্ষুসে ব্যাংক পরিচালকরা অধরা

১১ ঘণ্টা আগে | বাণিজ্য

দিল্লির গোলামি থেকে মুক্ত হয়ে ওয়াশিংটনের দাসত্ব মেনে নেওয়া হবে না : মামুনুল হক
দিল্লির গোলামি থেকে মুক্ত হয়ে ওয়াশিংটনের দাসত্ব মেনে নেওয়া হবে না : মামুনুল হক

২১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

পাসপোর্টে ডলার এনডোর্সমেন্ট সর্বোচ্চ ফি ৩০০ টাকা নির্ধারণ
পাসপোর্টে ডলার এনডোর্সমেন্ট সর্বোচ্চ ফি ৩০০ টাকা নির্ধারণ

১৫ ঘণ্টা আগে | বাণিজ্য

অবশেষে ব্যাংকক গেলেন পার্থর স্ত্রী
অবশেষে ব্যাংকক গেলেন পার্থর স্ত্রী

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভেঙে ফেলা হতে পারে মিঠুন চক্রবর্তীর মহারাষ্ট্রের বাড়ি
ভেঙে ফেলা হতে পারে মিঠুন চক্রবর্তীর মহারাষ্ট্রের বাড়ি

৬ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

ডিবি কার্যালয়ে নুসরাত ফারিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে
ডিবি কার্যালয়ে নুসরাত ফারিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে

২ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

গাজা যুদ্ধ বন্ধে রাজি নেতানিয়াহু, দিয়েছেন যেসব শর্ত
গাজা যুদ্ধ বন্ধে রাজি নেতানিয়াহু, দিয়েছেন যেসব শর্ত

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মাইমুনার পরিবারের সন্ধান চায় ডিএমপির ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টার
মাইমুনার পরিবারের সন্ধান চায় ডিএমপির ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টার

৪ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ভারতের সঙ্গে সংঘর্ষে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ভাবমূর্তির পুনর্জাগরণ
ভারতের সঙ্গে সংঘর্ষে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ভাবমূর্তির পুনর্জাগরণ

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিন্ট সর্বাধিক
তলানিতে শেয়ারবাজার
তলানিতে শেয়ারবাজার

পেছনের পৃষ্ঠা

ইতিহাসের পাতায় আলফাজ
ইতিহাসের পাতায় আলফাজ

মাঠে ময়দানে

নগর ভবনে তালা, অবাঞ্ছিত ঘোষণা উপদেষ্টাকে
নগর ভবনে তালা, অবাঞ্ছিত ঘোষণা উপদেষ্টাকে

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

অসময়ে তিস্তার রুদ্রমূর্তি
অসময়ে তিস্তার রুদ্রমূর্তি

পেছনের পৃষ্ঠা

সবার এত প্রশংসা পুরো ক্যারিয়ারে পাইনি
সবার এত প্রশংসা পুরো ক্যারিয়ারে পাইনি

শোবিজ

খুলনায় সমাবেশে তারুণ্যের ঢল
খুলনায় সমাবেশে তারুণ্যের ঢল

প্রথম পৃষ্ঠা

বিএনপিতে যোগ দিতে পারবেন যারা
বিএনপিতে যোগ দিতে পারবেন যারা

প্রথম পৃষ্ঠা

বিএনপির টার্গেট তরুণরা
বিএনপির টার্গেট তরুণরা

নগর জীবন

হামজাদের জন্য প্রস্তুত জাতীয় স্টেডিয়াম
হামজাদের জন্য প্রস্তুত জাতীয় স্টেডিয়াম

মাঠে ময়দানে

দিনদিন বাড়ছে অসন্তোষ
দিনদিন বাড়ছে অসন্তোষ

প্রথম পৃষ্ঠা

পিএসএলে আজ মাঠে ফিরবেন সাকিব
পিএসএলে আজ মাঠে ফিরবেন সাকিব

মাঠে ময়দানে

বাংলাদেশ-ভারত ফাইনাল আজ
বাংলাদেশ-ভারত ফাইনাল আজ

মাঠে ময়দানে

ক্ষুদ্রঋণ ব্যাংক স্থাপনে গুরুত্বারোপ
ক্ষুদ্রঋণ ব্যাংক স্থাপনে গুরুত্বারোপ

পেছনের পৃষ্ঠা

রুলিংয়ে ক্ষুব্ধ ডোনাল্ড ট্রাম্প
রুলিংয়ে ক্ষুব্ধ ডোনাল্ড ট্রাম্প

প্রথম পৃষ্ঠা

সিনেমা কেন মার খায়
সিনেমা কেন মার খায়

শোবিজ

কান কথা
কান কথা

শোবিজ

স্নাতকোত্তর প্রতিবন্ধীর খামারে গরুর সমাহার
স্নাতকোত্তর প্রতিবন্ধীর খামারে গরুর সমাহার

পেছনের পৃষ্ঠা

ক্রিকেটারদের ইচ্ছাকে প্রাধান্য দেবে বিসিবি
ক্রিকেটারদের ইচ্ছাকে প্রাধান্য দেবে বিসিবি

মাঠে ময়দানে

হেরেই গেল ‘এ’ দল
হেরেই গেল ‘এ’ দল

মাঠে ময়দানে

ঈদে আসছে ‘নাদান’
ঈদে আসছে ‘নাদান’

শোবিজ

শিরোপা উৎসবে মাতোয়ারা মোহামেডান
শিরোপা উৎসবে মাতোয়ারা মোহামেডান

মাঠে ময়দানে

একঝাঁক তারকার ‘কিং’
একঝাঁক তারকার ‘কিং’

শোবিজ

খোলাবাজারে ডলার বাড়ল আড়াই টাকা
খোলাবাজারে ডলার বাড়ল আড়াই টাকা

পেছনের পৃষ্ঠা

প্রধান আসামির ফাঁসি, তিনজন খালাস
প্রধান আসামির ফাঁসি, তিনজন খালাস

প্রথম পৃষ্ঠা

ভারত-পাকিস্তান ‘সন্ত্রাসের ভারসাম্য’
ভারত-পাকিস্তান ‘সন্ত্রাসের ভারসাম্য’

সম্পাদকীয়

পাসপোর্ট এনডোর্সমেন্ট ফি ৩০০ টাকা
পাসপোর্ট এনডোর্সমেন্ট ফি ৩০০ টাকা

পেছনের পৃষ্ঠা

শারাপোভা প্রথম গ্র্যান্ড স্লাম জয় করেন ২০০৪ সালে
শারাপোভা প্রথম গ্র্যান্ড স্লাম জয় করেন ২০০৪ সালে

মাঠে ময়দানে

দিল্লি বা ওয়াশিংটনের গোলামি নয়
দিল্লি বা ওয়াশিংটনের গোলামি নয়

প্রথম পৃষ্ঠা

সেনানিবাসসংলগ্ন এলাকায় সমাবেশ মিছিল নিষিদ্ধ
সেনানিবাসসংলগ্ন এলাকায় সমাবেশ মিছিল নিষিদ্ধ

প্রথম পৃষ্ঠা