১৯৭১ সালের ৭ মার্চের পর পরিস্থিতি সংকট থেকে মহাসংকটের দিকে এগোতে থাকে। এসে যায় পরিকল্পিত ২৫ মার্চের কালরাত। রাতের অন্ধকারে রাজধানীতে পাকিস্তানি হায়েনাদের শুরু হয় বর্বর গণহত্যা। আতঙ্ক ও উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে ঢাকার বাইরে জেলা
শহর থেকে গ্রামাঞ্চলে। পরদিন ২৬ মার্চ সকাল ১১টায় কারফিউ জারি হয় দিনাজপুর শহরে। ২৬ মার্চ দিনাজপুর শহরের পরিস্থিতি রীতিমতো থমথমে। শহরবাসী গৃহবন্দি। যোগাযোগ বন্ধ। টেলিফোন লাইন বিচ্ছিন্ন। সব দিক থেকে দিনাজপুর এক অবরুদ্ধ শহর। পাঞ্জাবি, পাঠান ও বিহারিরা টহল দিচ্ছে শহরে। চারদিকে নিরপরাধ লোককে গুলি করে মেরে ফেলার গুজব। এরকম অবস্থায় অনেকে দিনাজপুর শহর ছেড়ে গ্রামাঞ্চলে, সীমান্তের দিকে পাড়ি জমায়।
২৬ মার্চ, ১৯৭১। ৫৪ বছর আগে এদিনে আমাদের মোহনপুর গ্রামের বাড়িতে একটাই পাকা ঘর ছিল। আরেকটা কাঁচা। সামনে একটা বারান্দা আছে। ছিল বারান্দায় ডাইনিং টেবিল। সন্ধ্যার দিকে রেডিও শুনছিলাম। এ সময় হঠাৎ মেজর জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণা শুনে সবাই আবেগে আপ্লুত হয়ে যায়। তাঁর কণ্ঠে স্বাধীনতার ঘোষণা শোনার পর নিজের মধ্যে যুদ্ধে যাওয়ার প্রেরণা পাই।
লেখক : মুক্তিযোদ্ধা, শ্রুতিলিখন : মো. রিয়াজুল ইসলাম, দিনাজপুর।