নরওয়ের রাজকুমারীর ছেলে হোয়িবির বিরুদ্ধে ধর্ষণসহ ৩২টি অপরাধের অভিযোগ রয়েছে দেশটির আদালতে। হোয়িবি গত বছরের ৪ আগস্ট প্রেমিকাকে নির্যাতনের অভিযোগে গ্রেফতার হওয়ার পর থেকে তদন্তাধীন ছিলেন। সোমবার এ তথ্য জানিয়েছেন দেশটির এক প্রসিকিউটর।
ক্রাউন প্রিন্সেস মেটে-মারিটের ছেলে এবং ক্রাউন প্রিন্স হাকনের সৎপুত্র ২৮ বছর বয়সী মারিয়াস বোর্গ হোয়িবি আগামী বছরের শুরুতে বিচারের মুখোমুখি হবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। প্রসিকিউটর জানিয়েছেন, গুরুতর অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হলে তার ১০ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে।
প্রসিকিউটর স্টুরলা হেনরিকসবো জানান, চারটি ধর্ষণের পাশাপাশি অভিযোগগুলোর মধ্যে রয়েছে—এক প্রাক্তন সঙ্গীর প্রতি পারিবারিক নির্যাতন, সহিংসতা, ভাঙচুর, শান্তি ভঙ্গ ও আদালতের সংরক্ষণমূলক আদেশ লঙ্ঘন। এছাড়া তার বিরুদ্ধে আরো কয়েকজন নারীর অজ্ঞাতে তাদের ব্যক্তিগত অঙ্গচিত্র ধারণ করার অভিযোগও রয়েছে। হেনরিকসবো বলেন, ‘এ ধরনের অপরাধের সর্বোচ্চ শাস্তি ১০ বছরের কারাদণ্ড। এগুলো অত্যন্ত গুরুতর কাজ, যা স্থায়ী দাগ রেখে যেতে পারে ও জীবন ধ্বংস করে দিতে পারে।’ তিনি জোর দিয়ে বলেন, 'মারিউস বরগ হোয়িবি রাজপরিবারের সদস্য হলেও তার ক্ষেত্রে বিচার অন্যদের তুলনায় হালকা বা কঠোর হওয়া উচিত নয়।'
২০২৪ সালের আগস্টে গ্রেফতারের ঘটনায় হোয়িবি ইতিমধ্যেই হামলা ও ভাঙচুরের কথা স্বীকার করেছেন। গ্রেফতারের ১০ দিন পর প্রকাশিত এক বিবৃতিতে তিনি স্বীকার করেন, মদ্যপান ও কোকেন সেবনের পর এক ঝগড়ার সময় তিনি এমন আচরণ করেছিলেন। তিনি আরো জানান, দীর্ঘদিন ধরে মানসিক সমস্যা ও আসক্তির সঙ্গে লড়াই করছেন। হোয়িবির মা ক্রাউন প্রিন্স হকনকে বিয়ে করলে মাত্র চার বছর বয়সে আলোচনায় আসেন তিনি। পরে রাজ-দম্পতির সংসারে জন্ম নেয় আরো দুটি সন্তান।
বিডি প্রতিদিন/এএম