বাগেরহাটে সাংবাদিক হায়াত হত্যাকাণ্ডের ৪৮ ঘণ্টা পর অবশেষে বাগেরহাট সদর মডেল থানায় মামলা হয়েছে। রবিবার সন্ধ্যায় নিহত সাংবাদিক এস এম হায়াত উদ্দিনের মা হাসিনা বেগম বাদী হয়ে সাতজনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও ১০ থেকে ১২ জনকে আসামি করে এ মামলা দায়ের করেন।
বাগেরহাট সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহামুদ-উল-হাসান বলেন, সাংবাদিক হায়াত হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নিহতের মা হাসিনা বেগম বাদী হয়ে সাতজনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত ১০-১২ জনকে আসামি করে থানায় মামলা করেছেন। তদন্তের স্বার্থে এখনই আসামিদের নাম প্রকাশ করা যাচ্ছে না। এ ঘটনায় এখনো কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। তবে ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
এদিকে, নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, ঘটনার দিন সাংবাদিক হায়াত নিজ বাড়ির কাছেই একটি চায়ের দোকানের সামনে বসে চা পান করছিলেন। এসময় তিনটি মোটরসাইকেলে করে ৬ থেকে ৭ জন সন্ত্রাসী এসে প্রথমে তাকে জিজ্ঞেস করে, তুই কোন হাত দিয়ে লিখিস, এ কথা বলেই তারা এলোপাতাড়ি কোপাতে শুরু করে হায়াতকে। হায়াত প্রাণভিক্ষার জন্য সন্ত্রাসীদের কাছে আকুতি-মিনতি করলেও তারা থামেনি। প্রায় আধা ঘণ্টা ধরে ওই স্থানে অবস্থান করে তারা নির্মমভাবে কুপিয়ে আহত করে হায়াতকে। ভয়ে আশপাশের কেউ এগিয়ে আসতে পারেনি।
বিডি প্রতিদিন/এমআই