আসন্ন নির্বাচন কেন্দ্র করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ (কসবা-আখাউড়া) আসন থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশায় বিএনপির ছয় নেতা মাঠ চষে বেড়ানোর পাশাপাশি নীতিনির্ধারক পর্যায়ে দৌড়ঝাঁপ করছেন। এই ছয় নেতা হলেন-সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মুশফিকুর রহমান; জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক, কাজী নজরুল ইসলাম হল শাখার ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি, জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের সদস্য ও আরাফাত রহমান কোকো ক্রীড়া সংসদের ভাইস প্রেসিডেন্ট ও অ্যাসোসিয়েশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রকৌশলী মো. নাজমুল হুদা খন্দকার; জেলা বিএনপির সদস্য ও লন্ডন প্রবাসী ব্যবসায়ী কবির আহমেদ ভূঁইয়া; আখাউড়া উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি প্রকৌশলী মুসলিম উদ্দিন; ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন হাজারী এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সিনেট
সদস্য ও কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক নসরুল্লাহ খান জুনায়েদ।
এ ছাড়া বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী থেকে ঢাকা মহানগর উত্তরের প্রচার ও মিডিয়া সম্পাদক মো. আতাউর রহমান সরকার, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ থেকে জেলার সহসাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি জসিম উদ্দিন, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস থেকে মাওলানা জয়নাল আবেদীন, খেলাফত মজলিসের মাওলানা কাজী মাঈনুদ্দিন, বাংলাদেশ জাসদের কেন্দ্রীয় প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সাবেক ছাত্রনেতা মো. মহিউদ্দিন প্রার্থী ঘোষিত হয়েছেন। তাদের মধ্যে অনেকেই এলাকায় বিভিন্ন সময় সভা-সমাবেশ ও সামাজিক অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকছেন।
বিএনপরি মনোনয়নপ্রত্যাশী প্রকৌশলী মো. নাজমুল হুদা খন্দকার বলেন, ‘রাষ্ট্রনায়ক তারেক রহমানের নেতৃত্বে আমরা রাজনীতিতে ইতিবাচক পরিবর্তনের মাধ্যমে দেশকে নতুনভাবে গড়তে চাই।’ কবির আহাম্মেদ ভূঁইয়া বলেন, ‘আমি ১৭ বছর ধরে সরাসরি মাঠে থেকে দলের আন্দোলন-সংগ্রামসহ নেতা-কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ রাখতে কাজ করেছি।’ এনামুল হক ভূঁইয়া বলেন, ‘মুশফিকুর রহমানের নেতৃত্বে আমরা ঐক্যবদ্ধ আছি।’ ভোটের ব্যাপারে আখাউড়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি জয়নাল আবেদীন বলেন, ‘বিগত সময়ে কবির আহমেদ ভূঁইয়া দলীয় নেতা-কর্মীদের পাশে ছিলেন।’ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল মনসুর মিশন বলেন, ‘কসবা-আখাউড়া আসনটি ভিআইপি আসন। এ আসনে মুশফিকুর রহমানই হেভিওয়েট প্রার্থী।’