চট্টগ্রাম-১২ (পটিয়া) অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সংসদীয় আসন। আসন্ন সংসদ নির্বাচনে এ আসন থেকে মনোনয়নপ্রত্যাশী হয়েছেন বিএনপির পাঁচ নেতা। তারা হলেন- দুবারের সাবেক সংসদ সদস্য গাজী মো. শাহজাহান জুয়েল, কেন্দ্রীয় বিএনপির সাবেক সদস্য সৈয়দ শাদাত আহমেদ, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এনামুল হক এনাম, চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি গাজী মোহাম্মদ সিরাজ উল্লাহ ও দক্ষিণ জেলার যুগ্ম আহ্বায়ক সাইফুদ্দিন সালাম মিঠু।
এ আসনে জামায়াতের একক প্রার্থী হয়েছেন চিকিৎসক নেতা ডা. ফরিদুল আলম, এলডিপি থেকে দলটির চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার সভাপতি এম ইয়াকুব আলী, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট থেকে এয়ার মোহাম্মদ পেয়ারু, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ থেকে এ এম মঈনুদ্দিন চৌধুরী হালিম ও গণঅধিকার পরিষদ থেকে দক্ষিণ জেলার আহ্বায়ক ডা. এমদাদুল হাসান। এখন পর্যন্ত আর কোনো দল থেকে প্রার্থী দেওয়া হয়নি, তাদের কোনো প্রচার-প্রচারণাও নেই। প্রার্থিতা প্রশ্নে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী গাজী মো. শাহজাহান জুয়েল বলেন, ‘আমি অতীতে দুবার সংসদ সদস্য ছিলাম। তাই আশা করি, দল আমাকে এবারও মূল্যায়ন করবে।’ আরেক মনোনয়নপ্রত্যাশী এনামুল হক এনাম বলেন, ‘পটিয়ায় দীর্ঘদিন দলকে ধরে রেখেছি। দুঃসময়ে আন্দোলন-সংগ্রাম করে সবাইকে একত্রিত করে রেখেছি, সহ্য করেছি নির্যাতন। তাই দলের মনোনয়ন পাওয়ার ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী।’ জামায়াতের প্রার্থী ডা. ফরিদুল আলম বলেন, ‘এখন পর্যন্ত নানা সমীকরণে নির্বাচনের মাঠে আমরা এগিয়ে। তাই সবার দোয়া চাই।’
এলডিপির প্রার্থী এম. ইয়াকুব আলী বলেন, ‘আমি পটিয়া আসন থেকে ২০০৬ সালেও প্রার্থী ছিলাম। তারই ধারাবাহিকতায় জোট হলেও আমার বিশ্বাস, আমাকেই মূল্যায়ন করা হবে। সে মূল্যায়নের ওপর ভিত্তি করে আমি পুরো পটিয়ায় কাজ করে যাচ্ছি। দীর্ঘদিন পটিয়া উপজেলাটির আশানুরূপ উন্নয়ন হয়নি। তাই নতুন করে মহাপরিকল্পনা গ্রহণের মাধ্যমে ঢেলে সাজানো এখন সময়ের দাবি।’
গণঅধিকার পরিষদের প্রার্থী ডা. এমদাদুল হাসান বলেন, ‘সারা দেশে ৩৬ জন প্রার্থীর মধ্যে আমিও একজন। দলের মনোনয়নটাকে আমি সর্বোচ্চ সম্মান করব। নির্বাচিত হলে পটিয়ার হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনব। ব্যাংকের চাকরিহারাদের চাকরি ফিরিয়ে আনতে কাজ করব।’