খানাখন্দে ভরা ৭০ বর্গকিলোমিটার আয়তনের বগুড়া পৌরসভার বেশির ভাগ সড়ক। কার্পেটিং উঠে গেছে কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়কে। চার বছরেও শেষ হয়নি নীলফামারীর ডোমার উপজেলার সাত কিলোমিটার রাস্তার কাজ। ফরিদপুরের ৩২ কিলোমিটার সড়ক এখন মরণফাঁদ। কুমিল্লায় দেড় ঘণ্টার পথ পার হতে সময় লাগে ৫ ঘণ্টা। গাইবান্ধায় ১৫ কিলোমিটারের সড়কে ৩০ গর্তে নাভিশ্বাস জেলাবাসীর। নিজস্ব প্রতিবেদক ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর-
বগুড়া : বগুড়া পৌরসভার বেশির ভাগ সড়ক খানাখন্দে ভরা। প্রায় ৭০ বর্গকিলোমিটার আয়তনের এই পৌরসভায় ১ হাজার ৩৪৮ কিলোমিটার সড়কের মাত্র ৭২৯ কিলোমিটার পাকা। বাকি ৬১৯ কিলোমিটারের মধ্যে ৩৫০ কিলোমিটার পুরোপুরি কাঁচা। আরসিসি ঢালাই ও ইট বিছিয়ে ২৬৯ কিলোমিটার সড়ক চলাচলের উপযোগী করা হয়েছে। পৌরসভার মোট সড়কের ২১ শতাংশ এখনো কাঁচা। পৌরসভার ৫৬ বর্গকিলোমিটার বর্ধিত এলাকায় নেই নালার ব্যবস্থা। কুষ্টিয়া : কার্পেটিং উঠে গেছে কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়কে। এতে ঘটছে দুর্ঘটনা। কুষ্টিয়া অংশের ২৫ কিলোমিটারের মধ্যে অন্তত ১০ কিলোমিটারই ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত। কিছু জায়গা চলাচলের একেবারেই অনুপযোগী। কুমিল্লা : কুমিল্লা-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কের কুমিল্লা অংশের ৪০ কিলোমিটার বেহাল। দেড় ঘণ্টার পথ যেতে সময় লাগে ৫ ঘণ্টা। ভাঙা সড়ক, সড়কের ওপরে বাজার, অবৈধ পার্কিংকে দায়ী করেছেন সংশ্লিষ্টরা। কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার কংশনগর বাজার, কালিকাপুর বাস স্টেশন এলাকা, দেবিদ্বার উপজেলার ফুলগাছতলা থেকে মাটিয়া মসজিদ, ভিংলাবাড়ি থেকে কোম্পানীগঞ্জ বাজারের আগের গোমতীর বাঁধ এলাকায় সড়কের অবস্থা খুবই খারাপ। গাইবান্ধা : টানা ভারী বর্ষণে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ থেকে মওলানা ভাসানী সেতু সংযোগ সড়কের বেলকা কদমতলী নামক স্থানে পাকা সড়কে সৃষ্টি হয়েছে বিশাল গর্তের। ১৫ কিলোমিটারের ওই সড়কে কমপক্ষে ৩০টি স্থানে ছোট বড় গর্ত রয়েছে। অত্যন্ত ব্যস্ততম সড়ক এটি।
নীলফামারী : চার বছরেও হয়নি ডোমার উপজেলা শহর থেকে বসুনিয়ার হাট পর্যন্ত সাত কিলোমিটার সড়কের সংস্কার কাজ। তিন বছর আগে কাজ ফেলে চলে যায় ঠিকাদার। ২০২১ সালের মাঝামাঝি সময়ে সংস্কার কাজ শুরু হয়। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সড়কটির কিছু অংশের পাকা স্তর ভেঙে রেখে কাজ বন্ধ করে চলে যায়। গাজীপুর : গাজীপুরের ইটাহাটা-কলাবাগান সড়ক যেন ভোগান্তির অন্য এক নাম। ভাঙাচোরা, বেহাল সড়ক ও বিভিন্ন স্থানে রাস্তা কেটে গভীর গর্ত করায় হাঁটা ছাড়া অন্য কোনো যানবাহন চলে না এই সড়কে। ফলে পণ্য পরিবহন ও যাতায়াতে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন লাখো এলাকাবাসী। ব্রাহ্মণবাড়িয়া : বাঞ্ছারামপুর-হোমনা আঞ্চলিক সড়কের নানান স্থানে বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। তিন উপজেলার কয়েক লাখ মানুষ দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। বরিশাল : চলতি বর্ষা মৌসুমে ভারী বর্ষণের কারণে বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কে বিভিন্ন অংশে খানাখন্দ ও ছোট-বড় অনেক গর্ত হয়েছে। পিরোজপুর : জেলা সদরসহ প্রায় সব উপজেলার রাস্তার অবস্থা বেহাল। কিছু রাস্তা একেবারেই চলাচলের অনুপযোগী। সবচেয়ে বেশি খারাপ অবস্থা পিরোজপুর সদর ও নেছারাবাদ উপজেলার রাস্তার। রাজশাহী : রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার বানেশ্বর মোড়। এই মোড় থেকে ঈশ্বরদী হয়ে ঢাকা, আবার নাটোর হয়ে ঢাকার পথে বাস চলাচল করে। এই সড়কের প্রায় দুই কিলোমিটার সড়ক খানাখন্দে ভরা। তালাইমারী মোড় রাজশাহী নগরীতে প্রবেশের মূল পথ। এই পথ দিয়ে বহু যানবাহন চলাচল করে। কিন্তু মোড়টি ভাঙাচোরা। প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা।