এক বছরে ১৮৫টি পোশাক কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে বেকার হয়ে পড়েছেন হাজার হাজার শ্রমিক। গ্যাস ও বিদ্যুৎ সংকটের কারণে উৎপাদন কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে, যার প্রভাব পড়েছে রপ্তানি খাতেও। গত দুই মাসে রপ্তানি কমেছে প্রায় ৫ থেকে ৬ শতাংশ। টেকসই উৎপাদনের স্বার্থে সমন্বিত উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ গার্মেন্ট ও বায়িং হাউজ অ্যাসোসিয়েশন (বিজিবিএ)।
রবিবার (১২ অক্টোবর) নিজস্ব কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে অ্যাসোসিয়েশন জানায়, ক্রমাগত কারখানা বন্ধ হওয়া এবং উৎপাদন কমে যাওয়ার ফলে বিদেশি ক্রেতাদের আগ্রহ হ্রাস পাচ্ছে।
ব্রিফিংয়ে আরও বলা হয়, বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে পোশাক মেলা অনুষ্ঠিত হলেও সেখানে বাংলাদেশের সক্রিয় অংশগ্রহণ কম। শিল্প উদ্যোক্তারা অংশ নিলেও উৎপাদন প্রক্রিয়ার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অন্যদের অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না।
অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা জানান, বৈশ্বিক নানা চ্যালেঞ্জের মধ্যে উৎপাদক ও বায়িং হাউজগুলোর মধ্যে ঘনিষ্ঠ সমন্বয় জরুরি। তারা বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে উচ্চ শুল্ক এবং বাংলাদেশের নির্বাচন ঘিরে রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার কারণে পণ্যের চাহিদা এখনো বাড়েনি।
অন্যদিকে ক্রেতারা সতর্ক করে জানিয়েছেন, উৎপাদন সংকট কাটিয়ে না উঠলে নতুন ক্রয়াদেশ পাওয়া কঠিন হবে। শিল্প উৎপাদন টিকিয়ে রাখতে সরকারের কার্যকর ভূমিকা এখন সময়ের দাবি বলেও তারা মত দেন।
ব্রিফিংয়ে সংগঠনের পক্ষে বক্তব্য দেন বিজিবিএর সভাপতি মোফাজ্জল হোসেন পাভেল। উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদ পিন্টু, ভাইস প্রেসিডেন্ট সাইফুর রহমান ফরহাদ, মহাসচিব জাকির হোসেন প্রমুখ।
বিডি প্রতিদিন/এমআই