আফগানিস্তান-পাকিস্তানের সীমান্তে নতুন করে ভয়াবহ সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়েছে। শনিবার গভীর রাতে খাইবার-পাখতুনখাওয়া ও বেলুচিস্তানের সীমান্ত এলাকায় আফগান বাহিনী পাকিস্তানি সীমান্ত পোস্টে হামলা চালালে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। পাল্টা জবাবে পাকিস্তান সেনাবাহিনীও ভারী অস্ত্র ব্যবহার করেছে।
এই সংঘর্ষে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা বাড়তে থাকায় আন্তর্জাতিক মহলের নজর এখন সৌদি আরবের দিকে। সম্প্রতি পাকিস্তানের সঙ্গে একটি কৌশলগত প্রতিরক্ষা চুক্তি স্বাক্ষর করেছে সৌদি। চুক্তি অনুযায়ী, এক দেশের ওপর আক্রমণ হলে তা অন্য দেশের ওপর আক্রমণ হিসেবে বিবেচিত হবে।
বিশ্লেষকদের মতে, এ ধরনের প্রতিরক্ষা জোট দক্ষিণ এশিয়ার ভূ-রাজনীতিতে বড় ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে।
তবে রিয়াদ এখন পর্যন্ত সামরিক হস্তক্ষেপের কোনো ইঙ্গিত দেয়নি। সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের সীমান্তে চলমান উত্তেজনা আমরা গভীর উদ্বেগের সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করছি। সৌদি আরব সব পক্ষকে সংযম, সংলাপ ও প্রজ্ঞার পথে চলার আহ্বান জানাচ্ছে। যা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা বজায় রাখতে সহায়ক হবে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, সৌদি আরব শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষার জন্য সকল আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টাকে সমর্থন করে। পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের সম্পর্ক রক্ষায় আন্তরিকভাবে আগ্রহী।
অন্যদিকে, আফগান সরকারের মুখপাত্র জবিহউল্লাহ মুজাহিদ দাবি করেছেন, তাদের বাহিনী রাতভর অভিযানে ৫৮ জন পাকিস্তানি সৈন্যকে হত্যা করেছে এবং ২৫টি সেনা পোস্ট দখল করেছে। তিনি আরও জানান, আমাদের সীমানা সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, এবং অবৈধ কার্যকলাপ কঠোরভাবে প্রতিরোধ করা হচ্ছে।
আফগান প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, এটি ছিল একটি প্রতিশোধমূলক ও সফল অভিযান। যা পাকিস্তানের আকাশসীমা ও সীমান্ত লঙ্ঘনের জবাবে চালানো হয়েছে। মন্ত্রণালয়টির সতর্কবার্তা, যদি আবারও আমাদের ভূখণ্ডে হামলা হয়, আফগান বাহিনী কঠোর জবাব দিতে প্রস্তুত।
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল