দুই স্ত্রী রয়েছে বলিউডের তারকা অভিনেতা ধর্মেন্দ্রের। ফলে দুই সম্পর্ক ঘিরে রয়েছে দ্বন্দ্ব, জটিলতা, টানাপড়েন ও আবেগও। প্রথম স্ত্রী প্রকাশ কৌরের সঙ্গে বিবাহিত সম্পর্কে থাকাকালীনই হেমা মালিনীর প্রেমে পড়েন সেই সময়কার সুপারস্টার নায়ক ধর্মেন্দ্র।
বহু নারীর হৃদয় চুরি করায় সিদ্ধহস্ত ছিলেন। সেই ধর্মেন্দ্রই হেমা মালিনীর মন চুরি করে নিতেই শুরু হয় অন্য সমীকরণ। অভিনেতা নিজের ধর্ম বদলে হেমাকে বিয়ে করেন। তবে প্রথম স্ত্রীয়ের সঙ্গে সম্পর্কও ত্যাগ করেননি তিনি। দুই স্ত্রীয়ের মধ্যে কার সঙ্গে সংসার করেন ধর্মেন্দ্র? জানালেন তার ছেলে ববি দেওল।
বিবাহিত অভিনেতাকে বিয়ে করার সময় কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হয় হেমা মালিনীকে। শোনা যায়, হেমার সঙ্গে অভিনেতার বিয়ে নাকি কখনওই মেনে নেয়নি দেওল পরিবার। সেই জন্য দেওলদের কোনও অনুষ্ঠানেও কখনও দেখা যায়নি হেমা কিংবা তার দুই মেয়ের কাউকেই। ধর্মেন্দ্রের প্রথম স্ত্রী প্রকাশের সংস্পর্শ এড়িয়ে চলেন হেমা। এক পুরনো সাক্ষাৎকারে প্রকাশকে নিয়ে মুখ খুলেছিলেন হেমা।
তিনি জানান যে, কোনও দিনই তিনি ধর্মেন্দ্রের ‘অন্য পরিবার’-এর কাছে কোনও কিছু দাবি করেননি। দুই পরিবারের সম্পর্ক নিয়ে হেমা বলেন, ‘‘ভালোবাসায় শুধুই নিজের থেকে দিতে হয়। আমরা একে অপরকে এতটাই ভালবাসি যে, এই ছোট ছোট বিষয়গুলো নিয়ে কোনও অভিযোগ আমার নেই।’’
ববি জানান, বাবা ধর্মেন্দ্র তার মা প্রকাশ ও তাদের চার ভাই-বোনের সঙ্গেই থাকেন। হেমা মালিনীর নিজস্ব বাংলো আছে। তিনি সেখানে থাকেন। মাঝে মাঝে হেমা মালিনীর বাড়িতে গিয়ে থাকেন ধর্মেন্দ্র। সেই সময় একেবারে নিরামিশাষী হয়ে থাকতে হয় তাকে। কারণ মাছ-মাংসের গন্ধ সহ্য করতে পারেন না হেমা। দুই স্ত্রীয়ের সঙ্গে সখ্য বজায় রেখে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান বজায় রাখতে সক্ষম হয়েছেন অভিনেতা।
উল্লেখ্য, ১৯৫৪ সালে উনিশ বছর বয়সী এক উঠতি তরুণীকে বিয়ে করেন ধর্মেন্দ্র। তখন ধর্মেন্দ্রর বয়সও উনিশ ছিলো, এই প্রকাশ কর এবং ধর্মেন্দ্রর চারজন সন্তান হয়। সানি দেওল, ববি দেওল এবং দুই মেয়ে বিজেতা এবং অজিতা।
ধর্মেন্দ্র পরে ১৯৮০ সালে গোপনে হেমা মালিনীকে বিয়ে করেন, যদিও প্রকাশ করকে তিনি তালাক দিতে চাননি এবং পরে দেনও নি। এষা দেওল এবং অহনা দেওল নামের দুই কন্যার জন্ম হয় ধর্মেন্দ্র-হেমা দম্পতির।
সূত্র: আনন্দবাজার
বিডি প্রতিদিন/নাজিম