ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের সময় একটি বিমানের চাকার ভিতর শিয়াল ঢুকে পড়ে। তবে অল্পের জন্য বড় ধরনের দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেয়েছেন যাত্রীরা। শুক্রবার রাত ২টায় এ ঘটনা ঘটে। বিমানবন্দর সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, রাত ২টার পর শ্রীলঙ্কা থেকে আসা ফিস্ট এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইট অবতরণ করে। রানওয়ে থেকে আসার সময় ফ্লাইটটির চাকার ভিতরে হঠাৎ একটি শিয়াল ঢুকে যায়। পরে পাইলটের দক্ষতায় বিমান থামিয়ে শিয়ালটি বের করে বিমানটিকে রানওয়ে থেকে নিয়ে যাওয়া হয়। সূত্র জানায়, এর আগেও রানওয়েতে শিয়ালের বিষয়টি বারবার আলোচনায় এসেছে। সেই সঙ্গে ফ্লাইট উড্ডয়নের সময় বার্ড হিটিংয়ের কবলে পড়েও বহু ফ্লাইট পুনরায় অবতরণ করতে বাধ্য হয়েছে। এতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিলম্বের কবলে পড়েন যাত্রীরা।
জানা গেছে, ক্যান্টনমেন্ট ও বিমানবন্দর এলাকার জঙ্গলজুড়ে শিয়ালের অবাধ বিচরণ দেখা যায়। এরা প্রায়ই রানওয়েতে ওঠে দৌড়াদৌড়ি করে। প্লেনের শব্দ পেলে সরে যায়। পাখি ও বন্যপ্রাণী নিয়ন্ত্রণে ২০১৭ সালে ন্যাশনাল সিভিল এভিয়েশন ওয়াইল্ড লাইফ বা বার্ড হ্যাজার্ট কন্ট্রোল কমিটি তৈরি করেছিল বেসরকারি বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ-বেবিচক। ওই কমিটির দায়িত্ব ছিল আইকাওর বিধিবিধান ও এয়ারপোর্ট সার্ভিস ম্যানুয়াল অনুযায়ী- ওয়াইল্ড লাইফ ও বার্ড স্ট্রাইক সমস্যার মোকাবিলা করা। কোন ধরনের পাখি কোনো মৌসুমে এবং কেন আসে- এসব বিষয় নিয়ে গবেষণা করা, বিমানবন্দর ও এর আশপাশ এলাকার বর্জ্য ম্যানেজমেন্ট নজরদারি করা, নিয়মিত বার্ড স্ট্রাইক নজরদারি করা, সমস্যা চিহ্নিত ও সমাধান করা, বিমানবন্দরের পুকুরের মাছ চাষ, কৃষিজমি, গরু-ছাগলের খামার, ময়লা-আবর্জনার ডাম্পিং, গলফ কোর্স, ছোট পুকুর ইত্যাদি সরিয়ে ফেলা।
পাখি ও বন্যপ্রাণী বিমানবন্দর থেকে সরাতে সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারদের ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। তবে বর্তমানে সাইরেন বাজানো ও বার্ড শুটার ছাড়া তাদের তাড়াতে তেমন কোনো উদ্যোগ নেয়নি বেবিচক। তবে এখনো অভিজ্ঞ বার্ড শুটারের অভাব রয়েছে।