এক ম্যাচ হাতে রেখেই আফগানিস্তানের কাছে ৮১ রানের বড় ব্যবধানে হেরে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খুঁইয়েছে বাংলাদেশ। এদিন মাত্র ১৭ রানে ৫ উইকেট তুলে নেন রশিদ খান।
শনিবার আবুধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডটি অনুষ্ঠিত হয়।
রশিদ খানের ফুল লেংথ ডেলিভারি না বুঝেই স্লগ করতে চাইলেন তাওহিদ হৃদয়। কিন্তু ব্যাটেই লাগাতে পারলেন না মিডল-অর্ডার ব্যাটার। বোল্ড হয়ে ধরলেন ড্রেসিং রুমের পথ। সেই যে শুরু, এরপর রশিদের স্পিন বিষে নাকাল হলেন আরও ৪ ব্যাটার।
বাংলাদেশের বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ৫ উইকেট নিয়ে স্পিনারদের তালিকায় আরও একটু ওপরে উঠে গেলেন রশিদ। ওয়ানডেতে এটি তার ষষ্ঠ ৫ উইকেট। স্পিনারদের মধ্যে যা এই ফরম্যাটে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ।
৩৫০ ম্যাচের ক্যারিয়ারে ৩৪১ ইনিংসে হাত ঘুরিয়ে ১০ বার ম্যাচে ৫ উইকেট নিয়ে সবার ওপরে শ্রীলঙ্কার কিংবদন্তি অফ স্পিনার মুত্তিয়া মুরালিধরন। তার ঠিক পরে আছেন শহিদ আফ্রিদি। পাকিস্তানি তারকা ৩৭২ ইনিংসে ৯ বার নিয়েছেন ৫ উইকেট।
সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে ২০০ উইকেট পূর্ণ করা রশিদ এবার নিজের ১০৮তম ইনিংসে নিলেন ষষ্ঠ ৫ উইকেট। যার সৌজন্যে বসলেন মুরালি ও আফ্রিদির ঠিক পরেই। রশিদের সমান ৬ বার ৫ উইকেট আছে পাকিস্তানের সাকলায়েন মুশতাকের, তবে ১৬৫ ইনিংসে।
প্রথম ওয়ানডেতেও দারুণ বোলিং করেছিলেন রশিদ। সেদিন ৩৮ রানে তার ঝুলিতে জমা পড়েছিল ৩টি উইকেট। এবার দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশকে রীতিমতো নাচিয়ে ছেড়েছেন।
নিজের ষষ্ঠ ও বাংলাদেশের ইনিংসের ২৩তম ওভারে পরপর দুই বলে নুরুল হাসান সোহান ও তানজিম হাসান সাকিবকে আউট করে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা জাগান রশিদ। পরের বলে রিশাদ হোসেনকেও এলবিডব্লিউ দেন আম্পায়ার।
তবে রিভিউ নিয়ে বেঁচে যাওয়ায় হ্যাটট্রিকের স্বাদ পাওয়া হয়নি রশিদের। সেটি না পেলেও পরে তানভির ইসলাম ও রিশাদকে ফিরিয়ে ৫ উইকেট পূর্ণ করেন আফগানিস্তানের অভিজ্ঞ লেগ স্পিনার।
দুই ম্যাচ মিলিয়ে ১৮.৩ ওভারে মাত্র ৫৫ রান খরচ করে রশিদের শিকার ৮টি উইকেট। ওভারপ্রতি খরচ ৩ রানেরও কম। তার এই ১১১ বলে একটিও বাউন্ডারি মারতে পারেনি বাংলাদেশের ব্যাটাররা।
বিডি প্রতিদিন/নাজিম