কোনো রাজনৈতিক দলের জুলাই সনদে স্বাক্ষর করা বা না করার বিষয়টি আগামী জাতীয় নির্বাচনে প্রভাব ফেলবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ।
শনিবার সকালে জিয়া উদ্যানে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে সালাহউদ্দিন আহমদ এসব কথা বলেন।
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, এই জাতি মনে করে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঠিকানা এবং বহুদলীয় গণতন্ত্রের ভিত্তিমূল। স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব এবং গণতন্ত্র সুসংহত করতে আমরা বাংলাদেশের রাজনীতিতে যে পরিবর্তন আনতে চাই, সেটা শুরু হয়ে গেছে।’
বর্তমান সময়ে গণতান্ত্রিক সংস্কৃতির চর্চা অব্যাহত রাখা সবচেয়ে বেশি জরুরি উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, ‘গতকাল জুলাই সনদে স্বাক্ষরের মধ্যদিয়ে এর যাত্রা শুরু হয়েছে। এটার পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়নের মধ্যদিয়ে দেশে একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক সমাজ এবং রাষ্ট্র বিনির্মাণ হবে। রাষ্ট্রের সব অঙ্গে ভারসাম্য রক্ষা হবে। সব মৌলিক অধিকার বাস্তবায়ন এবং ভোগ করা সম্ভব হবে।’
ধৈর্য, সহনশীলতা ও গণতান্ত্রিক সংস্কৃতির চর্চার মধ্যদিয়ে এগিয়ে গেলেই কার্যকর একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র বিনির্মাণ সম্ভব বলেও মনে করেন বিএনপির এই নেতা।
জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ (এনসিপি) কয়েকটি রাজনৈতিক দল জুলাই সনদে স্বাক্ষর না করার কারণে আগামী নির্বাচনে কোনো প্রভাব ফেলবে না জানিয়ে সালাহউদ্দিন বলেন, ‘আরও সময় রয়েছে। আশা করি, এ সময়ের মধ্যেই বাকি দলগুলো জুলাই সনদে স্বাক্ষর করবে। গণতন্ত্রে সবাই একমত হবে এমন নয়, সেটা উন্মুক্ত রয়েছে। ভিন্ন মত থাকতেই পারে।’
আওয়ামী ফ্যাসিস্ট বাহিনী এখনো বিশৃঙ্খলার চেষ্টা করছে, সেটা গতকালও দৃশ্যমান হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘জুলাই যোদ্ধাদের যৌক্তিক একটি দাবি ছিল। সেই দাবি নিয়ে আমি নিজেও কথা বলেছিলাম। ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতিও পরবর্তীকালে তাদের দাবি সনদে সংশোধনও করেছেন। এরপরও তাদের অসন্তোষ থাকার কথা নয়। দেখা গেছে জুলাই যোদ্ধা নামে কিছু সংখ্যক ছাত্র নামধারী উচ্ছৃঙ্খল লোক ঢুকেছে সেখানে। সেটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট বাহিনী বলে আমি মনে করি।’
সেখানে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সঙ্গে জড়িত কোনো সংগঠন বা ব্যক্তি থাকতে পারে না বলেও দাবি করেন সালাহউদ্দিন আহমদ।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত