রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ব্রেস্ট ক্লিনিকে চলতি বছরের এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত স্তনের সমস্যা নিয়ে মোট ১ হাজার ১৩৭ জন রোগী সেবা নিতে আসেন। এর মধ্যে ৫৪ জনের ব্রেস্ট ক্যান্সার ধরা পড়েছে এবং ৪২ জন ব্রেস্ট ক্যান্সারের তৃতীয় অথবা চতুর্থ পর্যায়ের রোগী।
এছাড়া রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে অস্ত্রোপচার করা ২৬৭ জন রোগীর মধ্যে রেকটাম ক্যান্সারে আক্রান্ত ১৫ দশমিক ৫৪ শতাংশ, কোলন ক্যান্সারে আক্রান্ত ২১ দশমিক ৯ শতাংশ, স্টোমাক ক্যান্সারে আক্রান্ত ২৪ দশমিক ৪২ শতাংশ এবং ব্রেস্ট ক্যান্সারে আক্রান্ত ৩৭ দশমিক ৭৪ শতাংশ রোগী। হাসপাতালে গত পাঁচ মাসে অস্ত্রোপচার করা ২৬৭ জন ক্যান্সার রোগীর মধ্যে ১০২ জন স্তন ক্যান্সারের রোগী শনাক্ত হয়েছে।
স্তন ক্যান্সার রোধে স্ক্রিনিংসহ সঠিক সময়ে সঠিক চিকিৎসার ব্যাপারে তৃণমূল পর্যায়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। রংপুর মেডিকেল কলেজের সার্জারি বিভাগের আয়োজনে বৃহস্পতিবার কলেজের লেকচার গ্যালারি–১–এ ‘স্তন ক্যান্সার নিয়ে সচেতনতা’ শীর্ষক বৈজ্ঞানিক সেমিনারে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা এসব তথ্য জানান।
হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের কনসালট্যান্ট ডা. সামিহা তাসনিম মুনমুন সেমিনারে তথ্যচিত্র উপস্থাপনের মাধ্যমে এসব তথ্য তুলে ধরেন। রংপুর মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. নজরুল ইসলাম।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আশিকুর রহমান, প্যাথলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. মোস্তাফিজুর রহমান আকন্দ, মেডিসিন বিভাগের প্রধান ডা. মোখলেছুর রহমান সরকার, হাসপাতালের রেডিওলজিস্ট ডা. শফিকুল ইসলাম, রংপুর মেডিকেল কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ অধ্যাপক নূর ইসলাম এবং সার্জারি বিভাগের প্রাক্তন শিক্ষক ডা. জাবেদ আখতারসহ অন্যরা।
সেমিনারে জানানো হয়, রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ইলেকট্রনিক ডাটা ট্র্যাকিংসহ জনসংখ্যাভিত্তিক জরায়ুমুখ ও স্তন ক্যান্সার স্ক্রিনিং কর্মসূচির তথ্য সংগ্রহে সারাদেশে তৃতীয় স্থান অর্জন করায় সরকারি পুরস্কার পেয়েছে।
এর আগে মেডিকেল কলেজ প্রাঙ্গণ থেকে স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধে একটি জনসচেতনতামূলক র্যালি ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে। পরে কলেজ প্রাঙ্গণে সচেতনতা দিবসের কেক কাটা হয়।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল