বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু বলেছেন, আন্দোলনকারীদের মধ্যে যদি দ্বিধাবিভক্ত হয়, আন্দোলনকারীদের মধ্যে যদি অনৈক্য হয়, তাহলে আন্দোলন যারা করেছে তারা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। যাদের বিরুদ্ধে আমরা আন্দোলন করেছি তারা লাভবান হবে। কাজেই আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। চলার পথে ভুল হতে পারে, হলে তা শুধরে নিতে হবে। এভাবেই এগিয়ে নিতে হবে।
বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) দুপুরে পুরাতন বাসস্ট্যান্ড বিএনপি অফিসে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার শহীদ পরিবার এবং আহতদের মাঝে আর্থিক সহযোগিতা ও উপহার প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, টাঙ্গাইলের মানুষের বিগত দিনের দুঃখ-কষ্ট, মূল সমস্যা ‘সন্ত্রাস’ এগুলো কিন্তু মানুষ চায় না। মানুষ চায় সুন্দরভাবে ও স্বাধীনভাবে বেঁচে থাকতে। মানুষের এই চাহিদাকেই বড় মনে করে সেই চাহিদা পূরণ করতে হবে। অন্যায় দূরে রেখে কাজ করতে হবে। সকলে মিলে কাজ করতে হবে। আমিও এই ভালো কাজের অংশীদার হয়ে ভালো কাজে দায়িত্ব নিতে চাই। আমি টাঙ্গাইল সদরের মানুষের জন্য, সমাজের জন্য, পরিবারের জন্য একজন কর্মী হয়ে সংসদ নির্বাচন করতে চাই। আপনারা আমার পাশে থাকবেন এবং দোয়া করবেন।
সুলতান সালাউদ্দিন টুকু বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আমিও সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছিলাম। আমি যখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্ররাজনীতি করি তখন আমার ওপর হামলা হয়েছিল। আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে হল শাখার কনভেনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলাম। অসংখ্য মানুষের সঙ্গে মায়ার বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলাম। আগামী দিনে যেন বন্ধুবান্ধব নিয়ে গণতন্ত্রের জন্য ভালো কিছু সেবা দিতে পারি। সেজন্য আশা করি, একতাবদ্ধভাবে কাজ করতে পারব এবং সকলের সহযোগিতা পাব।
এ সময় টাঙ্গাইল সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আজগর আলী, জেলা যুবদলের আহ্বায়ক খন্দকার রাশেদুল আলম, বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুর রহমান খান শফিক, জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক দুর্জয় হোড় শুভ, নিহত মারুফের মা মোর্শেদা আক্তারসহ বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার শহীদ পরিবার ও আহতরা এবং বিএনপির অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
বিডি প্রতিদিন/কেএইচটি