খাগড়াছড়ি সদর উপজেলার পানখাইয়া পাড়া গ্রামের পাহাড়ি নারী উদ্যোক্তা ওয়েলিং চৌধুরী এখন মাশরুম চাষে সফল। পুষ্টির চাহিদা মেটানো ও স্বাবলম্বী হওয়ার লক্ষ্য নিয়ে তিন বছর আগে মাত্র ২০ শতক জমিতে তিন লাখ টাকা ব্যয়ে শুরু করেছিলেন মাশরুম চাষ। বর্তমানে তা লাভজনক উদ্যোগে পরিণত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে তার মাশরুম খামার পরিদর্শন করেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. নাসির উদ্দিনের নেতৃত্বে একটি দল। এ সময় তিনি চাষাবাদের বিভিন্ন দিক ঘুরে দেখেন এবং উদ্যোক্তা ওয়েলিং চৌধুরীর সঙ্গে কথা বলেন।
উপপরিচালক নাসির উদ্দিন বলেন, ‘এ নারী উদ্যোক্তাকে প্রযুক্তিগত সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। ভবিষ্যতে যেকোনো প্রকল্পের আওতায় এনে আরও সহযোগিতা দেওয়া হবে।’
পরিদর্শনে আরও উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মুক্তা চাকমা এবং সহকারী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রাব্বি হাসান।
ওয়েলিং চৌধুরীর খামারে বর্তমানে চার থেকে পাঁচজন কর্মী কাজ করেন। প্রতিদিন তারা খামারের যত্ন নেওয়ার পাশাপাশি নিজেদের জীবিকার ব্যবস্থাও করছেন। এক কেজি মাশরুম ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকায় বিক্রি হয়, যা স্থানীয় পাইকাররা সরাসরি কিনে নিয়ে যান।
অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়ার পাশাপাশি ওয়েলিং চৌধুরী এখন এলাকার অন্যান্য নারীদেরও অনুপ্রেরণা জোগাচ্ছেন। পাহাড়ি এ নারী উদ্যোক্তা বলেন, ‘শুরুতে অনেক কষ্ট ছিল, এখন ভালোই চলছে। চাই অন্য নারীরাও যেন এমনভাবে নিজেদের পায়ে দাঁড়াতে পারে।’
বিডি-প্রতিদিন/আশফাক