বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান বলেছেন, যারা দেশে প্রোপোরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন (পিআর) পদ্ধতি চালুর দাবি তুলছেন, তারা মূলত বাংলাদেশের স্বাধীনতার চেতনার বিরোধিতা করছেন। পিআর পদ্ধতি গণতন্ত্রের বিকৃতি ঘটাবে এবং সংবিধানের মূল চেতনার পরিপন্থি। দেশের সংবিধান জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে প্রতিনিধিত্বের কথা বলেছে। পিআর পদ্ধতি চালু হলে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা বাড়বে এবং স্বাধীনতার ভিত্তি দুর্বল হবে।
গতকাল বিকালে ঢাকার কেরানীগঞ্জ মডেল থানার কালিন্দী ইউনিয়ন বিএনপির উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন আমান। আমান উল্লাহ আমান বলেন, প্রধান উপদেষ্টার ঘোষণা অনুযায়ী আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ নির্বাচন ঠেকানোর ক্ষমতা কারও নেই। তিনি বলেন, যারা দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ব্যাহত করতে চায় এবং পিআর পদ্ধতির কথা বলছে, তারা আসলে নির্বাচনের বিরোধী ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির পক্ষে। তিনি আরও বলেন, অতীতে ফ্যাসিস্টবিরোধী আন্দোলনে অংশ নেওয়া সব রাজনৈতিক শক্তির মধ্যে যদি বিভাজন দেখা দেয়, তাহলে সুযোগ পেয়ে যাবে ফ্যাসিস্ট শক্তি।
তাই তিনি আন্দোলনে অংশ নেওয়া সব দলকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান। আমান অভিযোগ করেন, জুলাই মাসের নাশকতার মূল হোতা শেখ হাসিনা, যিনি বর্তমানে বিদেশে অবস্থান করে বাংলাদেশের নির্বাচন ও স্থিতিশীলতা নস্যাৎ করার ষড়যন্ত্র চালাচ্ছেন। তিনি দাবি করেন, দেশের বিভিন্ন স্থানে অগ্নিকাণ্ড ও নাশকতার ঘটনার পেছনেও রয়েছে শেখ হাসিনা ও তাঁর অনুসারীরা। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, এসব ষড়যন্ত্রকারীর বিরুদ্ধে কঠোর নজরদারি চালাতে হবে। এবং যাতে তারা আর কোনো ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড ঘটাতে না পারে সে বিষয়ে সজাগ থাকতে হবে। সভায় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার ইরফান ইবনে আমান অমি, সাভার উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ কফিল উদ্দিনসহ বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতারা।