ওয়ানডে সিরিজ জয়ের ট্রফি নিয়ে উচ্ছ্বাস করতে করতে ক্রিকেটাররা ঢুকেছেন ড্রেসিং রুমে। পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে সঞ্চালকের সঙ্গে কথা বলেছেন টাইগার অধিনায়ক মেহেদি হাসান মিরাজ। টাইগার অধিনায়ক প্রশংসায় ভাসিয়েছেন দুই ওপেনার সাইফ হাসান ও সৌম্য সরকারের। দুই ওপেনারের ১৭৬ রানে জুটিতে বাংলাদেশ ১৭৯ রানের আকাশসমান ব্যবধানে হারিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে। সিরিজ জেতায় গোটা দলের পারফরম্যান্সে সন্তুষ্ট প্রকাশ করেন টাইগার অধিনায়ক। প্রশংসা করেন ৯১ রানের ইনিংস খেলে ম্যাচসেরার পুরস্কার জেতা সৌম্যর। ট্রফি ও পুরস্কার নিয়ে বাঁ-হাতি ওপেনার সৌম্য মাঠে উপস্থিত দর্শকদের মনোবাসনা পূরণ করছেন। এসব চিত্র বৃহস্পতিবার তৃতীয় ওয়ানডে শেষের। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ শেষ। ২৭ অক্টোবর চট্টগ্রাম বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে শুরু হচ্ছে তিন ম্যাচের টি-২০ সিরিজ। সিরিজের বাকি দুই ম্যাচ ২৯ ও ৩১ অক্টোবর। ২০ ওভারের ফরম্যাটের জন্য যে স্কোয়াড ঘোষণা করেছেন গাজী আশরাফ হোসেন লিপুর নেতৃত্বাধীন নির্বাচক প্যানেল, সেই স্কোয়াডে জায়গা হয়নি ছন্দে থাকা সৌম্যর। ওয়ানডে সিরিজে সৌম্য রান করেছেন যথাক্রমে ৪, ৪৫ ও ৯১। শুধু তাই নয়, আফগানিস্তানের বিপক্ষে সর্বশেষ টি-২০ স্কোয়াডেও ছিলেন তিনি। কিন্তু ভিসা জটিলতায় শারজাহ যেতে পারেননি। তাই খেলতেও পারেননি। অথচ ঘরের মাটিতে টি-২০ সিরিজে জায়গা হয়নি ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। ছন্দে থাকার পরও কেন জায়গা হয়নি? এর ব্যাখ্যা দিয়েছেন প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু, ‘আফগানিস্তানের বিপক্ষে লিটন ইনজুরিতে পড়ায় স্ট্যান্ডবাই সৌম্যর সুযোগ হয়েছিল। ইনজুরি কাটিয়ে লিটন এখন ফিরেছেন, তাই সৌম্য নেই। এটা স্বাভাবিক প্রক্রিয়া।’
লিটন ফেরায় টাইগার স্কোয়াডে ওপেনারের সংখ্যা চারজন। নিয়মিত ওপেনার তানজিদ তামিম ও পারভেজ ইমন ছাড়াও রয়েছেন অধিনায়ক লিটন ও সাইফ হাসান। যদি ২০ ওভারের ম্যাচে লিটন ও সাইফ পেছনের দিকেই ব্যাটিং করেন। ওয়ানডে সিরিজে সাইফ ওপেন করেছেন দলের পরিকল্পনায়। আফগানিস্তানের বিপক্ষে অভিষেক সাইফ ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে প্রথম দুই ম্যাচে ৩ ও ৬ রান করেন। শেষ ওয়ানডেতে ৭২ বলে ৬টি করে চার ও ছক্কায় ৮০ রান করে নতুন বলে খেলার সামর্থ্যরে প্রমাণ দেন। লিটন ফেরায় ব্যাটিং শক্তি বেড়েছে। মিডল অর্ডারে রয়েছেন ছন্দে থাকা তাওহিদ হৃদয়, জাকের আলি অনীক, নুরুল হাসান সোহান, শামীম হোসেন পাটোয়ারী। আশ্চর্য হলেও সত্যি, লিটনের ফেরায় ছন্দে থাকা সৌম্যকে বাদ দিয়েছেন নির্বাচনমণ্ডলী। অথচ স্কোয়াডে উইকেটরক্ষকের সংখ্যা তিনজন। অধিনায়ক লিটন ছাড়াও রয়েছেন সোহান ও জাকের। জাকের এ মুহূর্তে ছন্দে নেই। তাকে জাতীয় ক্রিকেট লিগে খেলানোর সুযোগ করে দিতেই পারতেন টিম ম্যানেজমেন্ট। স্পিন বিভাগে রয়েছে অফ স্পিনার শেখ মেহেদি, বাঁ-হাতি স্পিনার নাসুম আহমেদ ও লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেন। মেহেদি ও রিশাদ অলরাউন্ডার। পেসার রয়েছেন চারজন- মুস্তাফিজুর রহমান, তাসকিন আহমেদ, তানজিম সাকিব ও শরিফুল ইসলাম।
দুই দল এখন পর্যন্ত টি-২০ ম্যাচ খেলেছে ১৯টি। বাংলাদেশের ৮ জয়ের বিপরীতে ক্যারিবীয়দের জয় ৯টি। দুটি পরিত্যক্ত। এর মধ্যে ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে দুই দল সর্বশেষ টি-২০ সিরিজ খেলেছে। টাইগাররা জিতেছিল ৩-০ ব্যবধানে।