টাইফয়েডের টিকা নিয়ে সংশয় বা গুজবের কোনো সুযোগ নেই। সরকার দেশে প্রথমবার বিশেষ কর্মসূচির মাধ্যমে এ টিকা প্রদান করছে। আগামীতে এটি শিশুদের সম্প্রসারিত টিকা কর্মসূচির (ইপিআই) আওতার মধ্যেই অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবে। তখন কেউ আর কোনো প্রশ্ন করার সুযোগ পাবে না।
শুক্রবার সকালে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব মাস কমিউনিকেশনের উদ্যোগে বিভাগীয় পর্যায়ে টাইফয়েড টিকা নিয়ে গণমাধ্যমের সঙ্গে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় ‘টিসিভি ভ্যাকসিনেশন ক্যাম্পেই’ শীর্ষক উপস্থাপনায় এ সব কথা বলা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার ড. মোহাম্মদ জিয়া উদ্দিন। ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব মাস কমিউনিকেশনের মহাপরিচালক মুহাম্মদ হিরুজ্জামানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মো. আহসান হাবিব পলাশ, চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. সেখ ফজলে রাব্বি, চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম, ইউনিসেফের চট্টগ্রাম প্রধান মাধুরি ব্যানার্জি। টাইফয়েড কর্মসূচির ওপর বিষয় ভিত্তিক তথ্য উপস্থাপন করেন চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন ডা. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, ইউনিসেফের ইপিআই বিশেষজ্ঞ ডা. সারওয়ার আলম ও মনজুর আলম।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার ড. মোহাম্মদ জিয়া উদ্দিন বলেন, সবার সম্মিলিত আন্তরিক সহযোগিতায় টাইফয়েড টিকা কর্মসূচিতে চট্টগ্রাম বিভাগ প্রথম হবে। এই লক্ষ্য আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। ইতোমধ্যে আমাদের অগ্রগতিও সন্তোষজনক।
ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব মাস কমিউনিকেশনের মহাপরিচালক মুহাম্মদ হিরুজ্জামান বলেন, এই টিকা শিশুদের অনেক রোগ থেকে সুরক্ষা দেবে। তাই অহেতুক কোনো গুজবে কান না দেওয়ার অনুরোধ করব।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. সেখ ফজলে রাব্বি বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ভিত্তিহীন গুজবে কেউ কান দিবেন না। এগুলো সস্তা জনপ্রিয়তা অর্জন ও লাইক কমন্টের ব্যবসার প্রবণতা মাত্র। তাই আমরা সব শিশুকে এ টিকা আওতায় নিয়ে আসার জন্য কাজ করে যাচ্ছি।
চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, চট্টগ্রামে মোট ১৬ লাখ ৩২ হাজার শিশুকে টাইফয়েড টিকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা আছে। ইতোমধ্যে ৫০ শতাংশ শিশুকে টিকা দেওয়া হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এএম