ব্রিটেনে ক্ষমতাসীন লেবার পার্টি তাদের ঐতিহ্যবাহী ঘাঁটি ওয়েলসে একটি আঞ্চলিক সংসদীয় আসনে পরাজিত হয়েছে।
শুক্রবারের এ পরাজয় আগামী বছরের স্থানীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের জন্য এটি একটি অশনিসঙ্কেত হিসেবে দেখা হচ্ছে।
১৯৯৯ সালে ওয়েলস পার্লামেন্ট (সেনেড) গঠনের পর থেকে সবচেয়ে বড় দল হিসেবে অবস্থান করা লেবার পার্টি দক্ষিণ ওয়েলসের কেয়ারফিলি আসনের উপনির্বাচনে তৃতীয় স্থানে নেমে গেছে। উল্লেখযোগ্য যে, এই আসনে দলটি এর আগে কখনও পরাজিত হয়নি।
ওয়েলস জাতীয়তাবাদী দল প্লেইড কামরি আসনটি জয়লাভ করেছে। অভিবাসনবিরোধী দল রিফর্ম ইউকে ৩৬ শতাংশ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছে, যা লেবার পার্টির ভোট ভাগ করে দিয়ে দলটিকে মাত্র ১১ শতাংশ ভোটে সীমাবদ্ধ করে দেয়।
বিজয়ী প্রার্থী প্লেইড কামরির লিন্ডসে হুইটল ভোট গণনা শেষে বলেন, ‘লেবারের ভোট যেন হাওয়ায় মিশে গেছে।’
দীর্ঘ এক শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে লেবার পার্টি ওয়েলসের দক্ষিণাঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী শ্রমিক শ্রেণির রাজনীতিতে প্রভাবশালী অবস্থান ধরে রেখেছে। এক সময়কার প্রধান শিল্প যেমন খনি শিল্প বিগত কয়েক দশকে প্রায় বিলুপ্ত হলেও দলটি দীর্ঘদিন এই অঞ্চলে রাজনৈতিক আধিপত্য বজায় রেখেছিল।
১৯১৮ সালে লেবার পার্টি প্রতিষ্ঠার পর থেকেই যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টে কেয়ারফিলি আসনটি ধরে রেখেছে এবং প্রায় ৩০ বছর আগে গঠিত ওয়েলস পার্লামেন্টেও আসনটি তাদের দখলে ছিল।
গত বছর জুলাইয়ে স্টারমার দলের নেতৃত্ব গ্রহণের পর থেকে লেবার পার্টির জনসমর্থন উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে। আগামী মে মাসে ওয়েলস, লন্ডন ও স্কটল্যান্ডে স্থানীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে ভোটারদের আস্থা ধরে রাখা দলটির জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এদিকে, চলতি বছর বেশিরভাগ জাতীয় জরিপে রিফর্ম ইউকে দ্বিগুণ ব্যবধানে এগিয়ে রয়েছে। যদিও পরবর্তী জাতীয় নির্বাচন ২০২৯ সালের আগে অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা নেই।
সূত্র : রয়টার্স
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত