নারায়ণগঞ্জবাসীর গলার কাঁটা হিসেবে পরিণত হয়েছে অবৈধ অটোরিকশা। এই অটোরিকশার নিয়ন্ত্রণহীন যাতায়াতের কারণে নগরবাসীর নিত্যদিনের সঙ্গী হচ্ছে যানজট। প্রায় প্রতিদিনই সকাল থেকে শুরু করে গভীর রাত পর্যন্ত শহরের প্রধান সড়কগুলোতে যানজট লেগেই থাকে। কোনোভাবেই যেন এ যানজট থেকে মুক্তি পাচ্ছে না নগরবাসী। এ নিয়ন্ত্রণহীন অটোরিকশার বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও নিতে পারছে না প্রশাসন। ব্যবস্থা নিতে গেলেই তারা আন্দোলনে নেমে যায়। ফলে এ অটোরিকশা নিয়ে বেশ বিপাকে রয়েছে প্রশাসন। সেই সঙ্গে নগরবাসীরও ভোগান্তির লাঘব হচ্ছে না। নারায়ণগঞ্জে বৈধ অটোরিকশার সংখ্যা প্রায় ১৭ হাজার। কিন্তু শহরজুড়ে দাবড়িয়ে বেড়াচ্ছে প্রায় ৩০ হাজার অটোরিকশা। অবৈধ অটোরিকশার কারণে শহরের চাষাঢ়া মোড় থেকে চানমাড়ি স্ট্যান্ড, ২ নম্বর রেলগেট, পুলিশ লাইনস, খানপুর রোড, ১ নম্বর রেলগেট, কালীরবাজার, পঞ্চবটি মোড় ও শিবু মার্কেটেও যানজটের পরিস্থিতি ক্রমাগত ভয়াবহ আকার ধারণ করছে। সম্প্রতি শহরের যানজট নিরসনে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছে নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি। এ বিষয়ে চেম্বার সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান ভূঁইয়া দিপু বলেন, আমরা নারায়ণগঞ্জ চেম্বারের পক্ষ থেকে প্রস্তাব করেছি শহরের যানজটপ্রবণ পয়েন্টগুলোতে নির্দিষ্ট পরিকল্পনা নিতে হবে। অতিদ্রুত কার্যকর ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলা, অবৈধ পার্কিং, অটোরিকশা নিয়ন্ত্রণ এবং ফুটপাত দখলকারীদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মোবাইল কোর্ট পরিচালনা ও গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে ট্রাফিক পুলিশ, স্বেচ্ছাসেবক সংখ্যা বৃদ্ধিসহ ডিজিটাল ট্রাফিক মনিটরিং চালু করা অত্যন্ত জরুরি।
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের নগর পরিকল্পনাবিদ মো. মঈনুল ইসলাম বলেন, যানজট নিরসনে ৫০ জন যানজট নিরসন কর্মী শহরের আটটি পয়েন্টে কাজ করবে। পাশাপাশি পুলিশ প্রশাসন আছে। শহরে যেন অবৈধ অটোরিকশা প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে। অবৈধ অটোরিকশাগুলোকে জরিমানা করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হচ্ছে।
নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, নারায়ণগঞ্জ শহরে দীর্ঘদিন ধরে যানজটের সমস্যা রয়েছে। ছোট্ট এই শহরে জনসংখ্যা খুব বেশি। কিন্তু সেই তুলনায় সড়ক কম। শহরে প্রচুর অটোরিকশা বৃদ্ধি পেয়েছে। তা কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায় আমরা তা নিয়ে কাজ করছি।