নাটকীয় রোমাঞ্চে ঠাসা ম্যাচে শেষ বলে চার মেরে দক্ষিণ আফ্রিকাকে স্তব্ধ করে দিল নামিবিয়া। আফ্রিকার এই ছোট দলটি নিজেদের ইতিহাসে প্রথমবার দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি খেলতে নেমেই ছিনিয়ে নিল ৪ উইকেটের ঐতিহাসিক জয়।
শনিবার উইন্ডহোকে অনুষ্ঠিত ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার দেওয়া ১৩৫ রানের লক্ষ্য তাড়া করে শেষ বলে জয় নিশ্চিত করে স্বাগতিকরা। জয়সূচক চারটি আসে জেন গ্রিনের ব্যাট থেকে, তিনি শেষ ওভারে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন ২৩ বলে ৩০ রানের ইনিংস খেলে।
আইসিসির পূর্ণ সদস্য দেশের বিপক্ষে এটি নামিবিয়ার চতুর্থ জয়। এর আগে তারা হারিয়েছিল আয়ারল্যান্ড, জিম্বাবুয়ে ও শ্রীলঙ্কাকে। তবে এবারের জয়টি সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য, কারণ দলটি ছিল টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সর্বশেষ আসরের রানার্সআপ দক্ষিণ আফ্রিকা।
অন্যদিকে, এটি দক্ষিণ আফ্রিকার জন্য লজ্জার আরেকটি দিন। ২০২২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নেদারল্যান্ডসের কাছে হারার পর এটাই তাদের দ্বিতীয় সহযোগী সদস্য দলের বিপক্ষে হার।
ম্যাচসেরা হয়েছেন রুবেন ট্রাম্পেলমান। ব্যাটে-বলে দারুণ পারফরম্যান্স করেছেন তিনি। ৩ উইকেট নেওয়ার পাশাপাশি ব্যাট হাতে অপরাজিত ১১ রান করেন। তার সঙ্গেই ৩৭ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়েন জেন গ্রিন।
টস জিতে ব্যাট করতে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকার শুরুটা ছিল হতাশাজনক। ষষ্ঠ বলেই সাজঘরে ফেরেন কুইন্টন ডি কক। এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে বসে প্রোটিয়ারা। কেউই ফিফটির দেখা পাননি। সর্বোচ্চ ৩১ রান আসে জেসন স্মিথের ব্যাট থেকে।
নামিবিয়ার বোলারদের মধ্যে ট্রাম্পেলমান ৩ উইকেট নেন ২৮ রানে। পাশাপাশি হেইঙ্গো নেন ২টি এবং এরাসমাস, শিকোঙ্গো ও স্মিট নেন একটি করে উইকেট।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে নামিবিয়াও ভালো শুরু পায়নি। ২৮ রানের মধ্যেই তারা হারায় দুই ওপেনারকে। তবে মিডল অর্ডারে অধিনায়ক এরাসমাস (২১), ক্রুগার (১৯) ও স্মিট (১৩) কিছুটা স্থিতিশীলতা আনেন। শেষ পর্যন্ত ম্যাচ জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন গ্রিন ও ট্রাম্পেলমান।
তাদের জুটির সময় ২১ বলে দরকার ছিল ৩৪ রান, যা তাঁরা অনায়াসেই পূরণ করে দেন।
নামিবিয়া ক্রিকেট গ্রাউন্ডে এটি ছিল প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচ। ঘরের মাঠে এমন জয় পেয়ে গ্যালারিতে উপস্থিত হাজারো দর্শক উল্লাসে মাতেন।
বিডি প্রতিদিন/মুসা