দেশের সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ধর্ম শিক্ষক নিয়োগ এবং উচ্চমাধ্যমিকের সব শাখায় ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা বাধ্যতামূলক করার দাবি জানিয়েছেন সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ড. আ ন ম এহছানুল হক মিলন। একই সঙ্গে ইসলামি শিক্ষায় মৌখিক পরীক্ষা অন্তর্ভুক্তিরও দাবি জানান তিনি।
গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবে ইসলামিক স্টাডিজ ফোরাম আয়োজিত ‘সংকট আবর্তে ইসলাম শিক্ষা : উত্তরণ কর্মকৌশল’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এতে প্রধান আলোচক ছিলেন ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ শামসুল আলম। বৈঠকে ১২ দফা দাবি পেশ করা হয়। এর মধ্যে রয়েছে- প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণি থেকে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে ধর্মশিক্ষা বাধ্যতামূলক করা, তৃতীয় থেকে পঞ্চম শ্রেণি এবং মাধ্যমিকে ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত আরবি বিষয়টি বাধ্যতামূলক করা, উচ্চমাধ্যমিক স্তরে মানবিক, বিজ্ঞান ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখায় ১০০ নম্বরের ‘ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা’ বিষয় বাধ্যতামূলকভাবে সিলেবাসের অন্তর্ভুক্ত করাসহ ১২ দফা দাবি পেশ করা হয়।
বক্তারা বলেন, বাংলাদেশ একটি ধর্মপ্রাণ মানুষের দেশ। এ দেশের রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম। কিন্তু রাষ্ট্রের নাগরিক ও নতুন প্রজন্মের জন্য জাতীয় শিক্ষানীতিতে কোনো স্তরেই ‘ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা’কে গুরুত্বসহকারে আবশ্যিকভাবে পঠন-পাঠনের ব্যবস্থা করা হয়নি। ফলে অনেকেই নানা উৎস থেকে ধর্মশিক্ষা গ্রহণ করে, যার কারণে ভুল ব্যাখ্যা, কুসংস্কার ও উগ্রতার উন্মেষ ঘটছে। ধর্মীয়-নৈতিক সমাজ ও রাষ্ট্র গঠনে শিক্ষার সর্বস্তরে ধর্মীয় নৈতিক শিক্ষা কারিকুলাম ও সিলেবাসে অন্তর্ভুক্ত করা জরুরি।