টানা বৃষ্টির প্রভাবে মানিকগঞ্জের সবজির বাজারে দেখা দিয়েছে অস্থিরতা। তদারকির অভাবে ইচ্ছে মতো দাম নিচ্ছেন বিক্রেতারা। আকাশছোঁয়া দামে ক্রেতা-বিক্রেতার মধ্যে দেখা দিচ্ছে তর্ক-বিতর্ক।
সরেজমিনে দেখা গেছে, পাইকারি বাজারের তুলনায় খুচরা বাজারে দামের পার্থক্য প্রায় দ্বিগুণ। ভ্রাম্যমাণ ভ্যানগাড়িতে একই পণ্য তুলনামূলক কম দামে বিক্রি হচ্ছে। আলু ও পেঁপে ছাড়া প্রায় সব ধরনের সবজি এখন সাধারণ ক্রেতার নাগালের বাইরে।
সদর উপজেলার ভাটবাউর বৃহৎ কাঁচাবাজার সূত্রে জানা গেছে, এক কেজি কাঁচামরিচ পাইকারিতে বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৫০ টাকায়, যা খুচরা বাজারে ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। পাইকারিতে পটল ৬০, পেঁপে ১০–১২, আলু ১৫–১৭, আর পেঁয়াজ ৬৭–৬৮ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। খুচরা বাজারে এসব সবজির দাম আরও বেড়ে দাঁড়িয়েছে—পেঁয়াজ ৮০, কাঁচামরিচ ২৮০–৩০০, করলা ১০০, পটল ৮০, বেগুন ১০০, পেঁপে ৩০ এবং আলু ২৫ টাকা কেজি।
বাজারে তদারকির অভাবে একেক স্থানে একেক রকম দাম দেখা যাচ্ছে। মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড, বেউথা ও হিজুলী বাজারে একই পণ্যের ভিন্ন ভিন্ন দাম পাওয়া গেছে।
ক্রেতা আমজাদ হোসেন বলেন, পরশু পটল কিনেছি ৫০ টাকায়, আজ চাচ্ছে ৮০। সব দোকানে একই দাম।” তিনি আরও বলেন, “শুধু বড় ব্যবসায়ীরাই না, খুচরা বিক্রেতারাও এখন একজোট হয়ে দাম বাড়াচ্ছে।
মানিকগঞ্জ জেলা নাগরিক কল্যাণ পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কামরুদ্দিন রেজা বলেন, সাধারণ নাগরিকের কথা বিবেচনা করে নিয়মিত বাজার মনিটরিং করা দরকার, যাতে ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়েই ন্যায্য দামে লেনদেন করতে পারেন।
জেলা কনজিউমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি বলেন, বাজার তদারকি বাড়ানো জরুরি। আমরা কেবল মানুষকে সচেতন করতে পারি, এর বাইরে আমাদের হাতে কোনো ক্ষমতা নেই।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল