বগুড়ার ধুনটে যমুনা নদীতে ভয়াবহ ভাঙন দেখা দিয়েছে। উজানের ঢলে শহরাবাড়ী স্পার এলাকায় প্রায় সাড়ে ৩০০ মিটার এলাকা যমুনায় তলিয়ে যায়। আকস্মিক ভাঙনে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, গাছপালাসহ প্রায় ৬০ বিঘা ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। এতে শহরাবাড়ী ঘাটে ২০০৩ সালে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের লাগানো পাকুড়গাছটিও নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। তৎকালীন স্থানীয় এমপি গোলাম মো. সিরাজকে সঙ্গে নিয়ে যমুনার ভাঙন এলাকা পরিদর্শনে এসে তিনি এটি রোপণ করেছিলেন।
স্থানীয়দের অভিযোগ, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রভাবশালী নেতাদের ছত্রছায়ায় যমুনা নদীর তীরবর্তী এলাকা থেকে বছরের পর বছর অপরিকল্পিতভাবে বালু উত্তোলনের কারণেই ভাঙনের কবলে পড়েছে এলাকাবাসী। ভাঙন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) জিও ব্যাগ ফেলে তীর সংরক্ষণের কাজ শুরু করেছে। সাবেক এমপি গোলাম মো. সিরাজের ছেলে আসিফ সিরাজ রব্বানী যমুনা নদীর ভাঙন রোধে স্থায়ীভাবে বাঁধ নির্মাণের জন্য মানববন্ধন করেছেন।
জানা যায়, গত কয়েক দিনে উজান থেকে নেমে আসা পানির চাপে হঠাৎ যমুনায় ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করে। গত দুই দিনে যমুনার পানি বেড়েছে প্রায় ১০০ সেন্টিমিটার। তীব্র স্রোতের কারণে ঘূর্ণিবর্ত সৃষ্টি হয়ে নদীপাড়ে আঘাত হানছে। বুধবার ধুনটের শহরাবাড়ী স্পার এলাকায় প্রায় সাড়ে ৩০০ মিটার যমুনা নদীতে তলিয়ে যায়। ভাঙনে চারটি দোকানসহ প্রায় ৬০ বিঘা ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
বগুড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নাজমুল হক জানান, উজানের ঢলে হঠাৎ পানি বাড়ার কারণে শুধু ধুনটের শহরাবাড়ী নয়, আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছে। তিন উপজেলায় প্রায় ৮ কিলোমিটারজুড়ে ভাঙন দেখা গেছে। ভাঙন মোকাবিলায় পানি উন্নয়ন বোর্ড তীর রক্ষায় কাজ করছে। এ ছাড়া স্থায়ীভাবে ভাঙন রোধে পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। প্রকল্পটি অনুমোদন পেলে এখানে সিসি ব্লক দিয়ে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ করা সম্ভব হবে।