আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব বা পিআর পদ্ধতি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর কিছু আসন বাড়াবে, কিন্তু সাধারণ জনগণের কোনও উপকারে আসবে না এমন মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান।
শনিবার (১১ অক্টোবর) রাজধানীর মৌচাকে কসমস ফাউন্ডেশন ও ইউনাইটেড নিউজ অব বাংলাদেশ (ইউএনবি) আয়োজিত এক সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব বলেন। সেমিনারটির শিরোনাম ছিল ‘আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব বা পিআর পদ্ধতি: নির্বাচন ও সমালোচনামূলক দৃষ্টিভঙ্গি’।
ড. মঈন খান পিআর পদ্ধতির পেছনে থাকা উদ্দেশ্য নিয়ে খোলাখুলি আলোচনা করেন। তিনি বলেন, যদি আমরা খোলাখুলি বলি, পিআরটা চাচ্ছি এই কারণে যে, আমি পার্লামেন্টে কিছু বেশি সিট (আসন) পাবো, এর বাইরে কিছু নেই।
তিনি বলেন, বেশি আসন বা ক্ষমতা পাওয়ার জন্য কি মানুষের মৌলিক দাবিকে অগ্রাহ্য করা হবে? এটি গণতন্ত্রের ভাষা নয়। এবং এই চাওয়া স্ববিরোধী। মানুষের কল্যাণে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। বিএনপির এ নেতা আরও বলেন, এ পদ্ধতি ব্যক্তির অবস্থানকে দুর্বল করে দিয়ে দলের অবস্থানকে আরও শক্তিশালী করে তুলবে। এর মানে হলো, জনগণ ভোট দেবে দলকে, আর দল ঠিক করে দেবে কে প্রার্থী হবেন।
তিনি বলেন, এর ফলে জনগণের যে মূল চিন্তাধারা অর্থাৎ জনপ্রতিনিধিরা সরাসরি জনগণের কাছে জবাবদিহি করবেন তা আর থাকবে না। দল অতিরিক্ত শক্তিশালী হয়ে গেলে একটি স্ববিরোধী ব্যবস্থা তৈরি হবে। তিনি বলেন, বিগত ৫৪ বছরে যখনই দল বেশি শক্তিশালী হয়েছে, তখনই জনগণের জন্য দুর্যোগ নেমে এসেছে।
কসমস গ্রপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এনায়েতউল্লাহ খানের সভাপতিত্বে সেমিনারে আরও বক্তব্য রাখেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, জামায়াতে ইসলামীর সহকারি সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ, এবি পার্টির মজিবুর রহমান মঞ্জু, গণসংহতি আন্দোলনের আবুল হাসান রুবেল, গণঅধিকারের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান এবং নির্বাচন কমিশনের সাবেক সচিব এস এম জাকারিয়া।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ